Menu

বাসের চাপায় পা হারানো রোজিনা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে আঘাত থেকেই। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম আজ রোববার প্রথম আলোকে এ কথা জানান।

আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রোজিনা।

২০ এপ্রিল রাতে বিআরটিসির দোতলা বাসের চাপায় ডান পা হারান গৃহকর্মী রোজিনা। তাঁকে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। পরে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আজ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়।

রো‌জিনা আক্তা‌রের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম বলেন, গত বুধবার রোজিনাকে যখন পঙ্গু হাসপাতাল থেকে এখা‌নে পাঠা‌নো হয়, তখনই ওঁর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল। বড় আঘাত, বড় অস্ত্রোপচারের পর এমনটা হ‌য়ে থা‌কে। কিড‌নি ও ফুসফুস ঠিকমতো কাজ কর‌লে সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থে‌কেই ওঁর শ্বাসকষ্টটা বাড়ছিল।

অধ্যাপক আবুল কালাম আরও বলেন, ‘রোজিনাকে অক্সিজেন দি‌য়ে রাখা হ‌য়ে‌ছিল। প‌রে আর ওই অক্সি‌জে‌নেও কুলা‌চ্ছিল না। শনিবার থেকে ওর জ্বর আসে। ধারণা কর‌ছি, সংক্রমণ বা র‌ক্তে জীবাণু ঢু‌কে প‌ড়ে‌ছিল। শনিবার রা‌তেই ওকে ভে‌ন্টি‌লেশ‌নে দেওয়া হয়। তবে বাঁচা‌নো যায়‌নি।’

রোজিনার দুর্ঘটনার পর থেকেই তাঁর বাবা ও স্বজনেরা হাসপাতালে এসেছিলেন। মেয়ের জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত থেকেছেন শঙ্কায়। কামনা করেছেন, মেয়ে যেন সুস্থভাবে ফিরে আসেন তাঁদের কাছে। তবে তাঁদের সেই চাওয়া পূর্ণ হলো না। রোজিনার বাবা ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার রসুল মিয়া পরের জমি চাষ করেন। আজ মেয়ে হারানো এই বাবা বলছিলেন, আর কারও ভা‌গ্য যেন এমন না হয়। ত‌বে তি‌নি তাঁর মে‌য়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তা‌দের কা‌ছে ক্ষতিপূরণ দা‌বি ক‌রে‌ছেন।