বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিসাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ছাড়াই পার হলো একটি বছর।
বাংলাদেশের উন্নয়নের কিংবদন্তী এরশাদ হয়তো স্বশরীরে নেই আমাদের মাঝে, কিন্তু তার অবদান ও উন্নয়নের স্মৃতি চিহ্ন অক্ষয় হয়ে আছে বাংলাদেশে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন পল্লীবন্ধুর কীর্তি অম্লান হয়ে থাকবে।
অসাধারণ এক বর্ণিল জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছেন পল্লীবন্ধু। আবার, অনেক কিছুই করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় উপাধি পেয়েছেন পল্লীবন্ধু। এখনই প্রকৃত মূল্যায়ন হবে তার। ১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই সর্ব প্রথম বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফাতেহা পাঠ করে দোয়া মুনাজাত করেছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি।
১৯৩০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের “লাল দালান” বাড়ি খ্যাত নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পেয়ারা নামের যে শিশু। সেই শিশুই বড় হয়ে উন্নয়নের এক অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন বাংলাদেশে। শিশু পেয়ারা বড় হয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নামে সাফল্যের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন দীর্ঘ নয় বছর। প্রতিষ্ঠিত করেছেন জাতীয় পার্টির মত একটি রাজনৈতিক দল।
রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর থেকে অংশ নেয়া প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জীবনে কোন নির্বাচনেই পরাজয়ের কালিমা স্পর্শ করতে পারেনি তাকে। পরপর দুই বার ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারাগারে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৫টি করে আসনে জয়ী হয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে চির বিদায় নেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা সেনানিবাস, জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এবং রংপুরে কয়েক দফা জানাজা শেষে লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত পল্লীবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় ১৬ জুলাই রংপুরের পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে সমাহিত করা হয়।
গেলো বছর বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেতার মর্যাদায় চির বিদায় জানানো হয়েছে তাকে। সৈনিক থেকে রাজনীতিতে উঠে আসা এক জীবনে এমন গৌরবগাঁথা নেই বললেই চলে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তির অল্প-স্বল্প উল্লেখ করা হলো।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৬ জুলাই ২০২০/এমএম





