Menu

বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক ::

কুর্মিটোলায় একটু গলফ খেলে দেখলেন গর্ডন গ্রিনিজ। ছবি: প্রথম আলো

কুর্মিটোলায় একটু গলফ খেলে দেখলেন গর্ডন গ্রিনিজ। ছবি: প্রথম আলোএবার বিশ্বকাপে ফেবারিট কে—দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছেন গর্ডন গ্রিনিজ। দুই দিনের সফরে আসা বাংলাদেশের সাবেক এ কোচের চোখে অবশ্য ভারতই কিছুটা এগিয়ে

গর্ডন গ্রিনিজ বারবারই বলছিলেন, এই বিশ্বকাপে ফেবারিট কারা, বলা একটু কঠিন। কেন কঠিন—সেটির ব্যাখ্যায় তাঁর দুটি যুক্তি, প্রথমত, এই মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বে এককভাবে কোনো দল দাপট দেখাতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বা ধরন ভিন্ন। গ্রিনিজ আজ ঢাকায় এসেছেন বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন টুর্নামেন্ট উপলক্ষে। এবার তাঁর বাংলাদেশ সফর যতই হোক গলফ-কেন্দ্রিক, ক্রিকেট বিশেষ করে বিশ্বকাপ নিয়েই তাঁকে বেশি বলতে হলো।

নিজে খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন দুটি বিশ্বকাপ। কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে তাঁর সাফল্যও হালকাভাবে দেখার উপায় নেই। বাংলাদেশের মতো এক নবীন দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ সেবার ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিল পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারানোর গৌরব নিয়ে। আরেকটা বিশ্বকাপ যখন দোরগোড়ায়, গ্রিনিজ কোন দলকে এগিয়ে রাখছেন এই টুর্নামেন্টে?

বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার সম্ভাবনা কাদের বেশি, সেটি বলতে গিয়ে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে একটু যেন দ্বিধায় পড়ে গেলেন গ্রিনিজ, ‘টুর্নামেন্ট যেহেতু ইংল্যান্ডে হচ্ছে, ওরা সম্ভবত এগিয়ে থাকবে। তবে এটাও ঠিক, ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠেও জিততে পারেনি। আমি বলব, সবার সমান সুযোগ থাকবে। এই মুহূর্তে কোনো দল নেই যারা একাই ছড়ি ঘোরাচ্ছে। আমি তাই বলতে পারব না এরাই সবচেয়ে ফেবারিট। আপনি আশা করতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিক দিয়ে সফল টুর্নামেন্টই হতে যাচ্ছে। হ্যাঁ যদি বলতেই হয়, আশা করি আমার অন্যতম ফেবারিট দল হবে ভারত।’

টুর্নামেন্টের ধরনটাই এমন, তাতে কোনো দলকে টপ ফেবারিট বলা কঠিন। টুর্নামেন্টের সূচি যেভাবে সাজানো হয়েছে, এবার যেন দমেরও খেলা। প্রতিটি দল যেহেতু একে অপরের বিপক্ষে খেলবে—চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আত্মবিশ্বাস, শারীরিকভাবে ফিটনেস সবই ধরে রাখতে হবে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত। গ্রিনিজ তাই মনে করেন, এক-দুই ম্যাচ জিতেই পরের পর্বে যাওয়া যাবে না। সেমিফাইনাল কিংবা বিশ্বকাপ জিততে হলে ধারাবাহিক থাকতে হবে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত, ‘এখন আপনি বলতে পারবেন না, এই দলটা ছড়ি ঘুরাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে। বেশির ভাগ দল এক-দুই বছর শীর্ষে থাকছে আবার নিচে নেমে যাচ্ছে। এবার মনে হচ্ছে টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শেষ চারে যেতে। কতটা ধারাবাহিক ভালো খেলবেন সেটির ওপর নির্ভর করছে কে জিতবে বিশ্বকাপ।’

 


Array