বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে শিক্ষার্থীকে মারধর ও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচারের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, আমরা সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে আমরা দেখতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়। অন্যথায় আমরা নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
সোমবার দিবাগত রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের আবাসিক ছাত্র ফরিদ হাসানকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফরিদ নিজ সংগঠনের মনোনয়ন না পেয়ে হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হল সংসদের ভিপি-জিএসসহ ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ফরিদ এসএম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ১৫৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে তিনি চিকিৎসা নেন। মারধরের শিকার ফরিদের অভিযোগ, হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন।
এই ক্ষোভেই তাকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করেছেন ওই পদে বিজয়ী ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াস সিজার তালুকদার। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি ফরিদের মাথায় ডান কানের পাশে ও চোখের ওপরে জখম হয়েছে, সেখানে ৩২টি সেলাই পড়েছে।
এ হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে নুরের নেতৃত্বে বিকালে টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল বেরোয়। শতাধিক শিক্ষার্থীসহ মিছিল নিয়ে নুর এসএম হলে ঢুকলে তাদের ওপর হামলা হয়। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় নুরসহ অন্যরা হল থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও তাদের আটকে টেনে-হিঁচড়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষের সামনে নিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক নুর।
এ সময় তাদের উদ্ধারের জন্য বারবার প্রক্টর ও প্রভোস্টকে ফোন করেও কোনো সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।