Menu

বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক ::

বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকাকে নিয়ে আপত্তিকর ও মনগড়া খবর প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম ‘এই সময় ডটকম’। যেখানে বাংলাদেশি শোবিজ তারকাদের শুধু ছোট করা হয়নি, সরাসরি ‘দেহ ব্যবসার’ স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে। খবরের শিরোনাম করা হয়েছে ‘বাংলার যে সব মডেল, অভিনেত্রী আর সেলেবদের রোজগার শরীর বেচে!’ আর এমন আপত্তিকর খবরে নাম রয়েছে তিন্নি, চৈতি, মিলা, নোভা, প্রভা, ইভা রহমান, মেহজাবীন, বিদ্যা সিনহা মিম, শখ, সারিকা, বিন্দু, পড়শির মতো প্রতিষ্ঠিত শোবিজ তারকার। খবরে এসব তারকাদের সেক্স স্ক্যান্ডালে জড়ানোর কথা উল্লেখ করা হলেও তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি ভারতীয় গণমাধ্যমটি। শুধু বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে ছড়ানো নানা গুজব-গুঞ্জনের ওপর ভিত্তি করে এসব শোবিজ তারকাদের ‘দেহ ব্যবসায়ী’ বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, সেক্স স্ক্যান্ডালের শিকার হয়ে এসব তারকার অনেকেই ক্যারিয়ার থেকে ছিটকে পড়েছেন। যার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। লাক্স তারকা বিন্দু, অভিনেত্রী তিন্নি, মডেল চৈতি ব্যতীত বাকি সবাই এখনো সগৌরবে শোবিজে কাজ করে যাচ্ছেন।

আবার খবরের শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের সংবাদের মিল নেই। প্রায় প্রতিটি গল্পের শেষে বলা হয়েছে ‘সত্যতা মেলেনি’। একই সঙ্গে প্রকাশিত ভিডিওতে উল্লেখিত যে নারীর ছবি দেখা গেছে বাস্তবের সেই সব শোবিজ তারকার সঙ্গে মিল নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও কুৎসিত একটা হেডিং দিয়ে ১২ জন শোবিজ তারকার নাম সেখানে ঢুকানো হয়েছে। যে সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের শোবিজ সংশ্লিষ্টরা।

অবশ্য উল্লিখিত শোবিজ তারকাদের মধ্যে দাম্পত্যের নেতিবাচক আক্রমণের শিকার হওয়া প্রভার বিষয়টি একটু আলাদা। ২০১০ সালে তার একটি স্ক্যান্ডাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলেও দেশবাসীর সহানুভূতি পেয়েছিলেন তিনি। কারণ স্বেচ্ছায় স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও কোনো অপরাধ নয়। আক্রোশের শিকার হয়ে প্রভার সাবেক স্বামী রাজিব সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিলে তাকেই দোষী হিসেবে কাঠগড়ায় তোলে সমাজ। সেই ভিডিওর প্রভাবে সমায়িকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেও খুব দ্রুতই তিনি নিজেকে ফিরিয়ে আনেন শোবিজে এবং বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যস্ত শিল্পীদের একজন তিনি।

এই সংবাদে নাম আছে এমন দু’একজন তারকার কাছে এমন সংবাদের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তারা বিরক্তি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে এই সংবাদকে ‘বিদেশি পত্রিকার উদ্দেশ্যমূলক নেংরা সংবাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন।