Menu

বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক ::

‘আমাদের প্রথম গাড়ি দুপুর একটা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আগুন ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ফ্লোরে বিস্তৃত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ তদন্তের আগেই বলতে চাচ্ছি না। আমাদের সার্চিং অপারেশন চলছে। আগামীকাল ১০টা পর্যন্ত চলবে। ভেতরে আমাদের ১০ থেকে ১২টা টিম ডিটেইলস সার্চ করছে।’

ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ সব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ভেতরে ফিনাইল বোর্ডের ডেকোরেশন করা ছিল। এগুলোর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ও আগুনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিনাইল বোর্ডসহ প্লাস্টিকের যেসব আইটেম আছে সেগুলো ওয়ান কাইন্ড অব ফুয়েল। এগুলোতে আগুন লাগলে দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং তাই হয়েছে। এছাড়া অনেক ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি ছিল বিশেষ করে কম্পিউটার, এসি ও অন্যান্য। ফ্লোরে কার্পেট থাকার কারণে আগুনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। রাত ৯ টা ২০ মিনিটে ডিজি বলেন, ভেতরে কোনো আগুন নেই।

ডিজি বলেন, প্রথম যাদের মৃতের তথ্য পাওয়া গেছে তারা আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। ভয়ে যারা লাফিয়ে পড়েছে তারা আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে গেলে সেখানে মারা যায়। পরে যাদের মরদেহ ভবনের ভেতর থেকে বের করা হয় তারা সাফোকেশনে মারা গেছে। ভবনের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি ছিল যেগুলো ব্যবহার উপযোগী ছিল না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।


Array