Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: গোটা মানবজাতি এখন এক কঠিন সময় পার করছে। সমগ্র বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ বাদে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোভিড-১৯ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েনি।বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের কাছে অপরিচিত এ রোগটি কঠিন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোনো টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি।

তবে বিশ্বের বেশকিছু নামকরা গবেষণাগারে এ রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক আবিষ্কারে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও বলা হচ্ছে, আগামী ১২-১৮ মাসের আগে সর্বসাধারণের মধ্যে এ টিকা ব্যবহার উপযোগী হবে না। অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষ আগামী ১ বছর বা দেড় বছর পর্যন্ত অসহায় অবস্থায় থাকবে।

বর্তমান পৃথিবী যে ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্ত তা বিবেচনা করে বলা যায়, পৃথিবী এক মহামন্দাকবলিত হতে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যে ক’টি অর্থনৈতিক মন্দার উদ্ভব ঘটেছে তার পেছনে মূলত অর্থনৈতিক সমস্যাই কাজ করেছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

একটি মারাত্মকভাবে সংক্রামক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ফলে দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মানুষ এখন ভীষণ শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। কেউ বলতে পারে না কখন কীভাবে এ রোগ দ্বারা সে আক্রান্ত হবে। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকার ফলে সংক্রমণের পর সংক্রমণ থেকে আদৌ মুক্তিলাভ সম্ভব হবে কিনা সে ব্যাপারেও প্রত্যেক মানুষ সন্দিহান।

মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গত তিন-চার দশকে পৃথিবীতে একটি বিপ্লব হয়ে গেছে। এর যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি মন্দ দিকও বিদ্যমান। নানা রকম যোগাযোগ মাধ্যম এমন সব তথ্য সরবরাহ করছে যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য যথেষ্ট।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে যেসব পোস্ট আমরা দেখতে পাই সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী। শুধু তাই নয়, সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থাপত্র এসব পোস্টে প্রকাশিত হচ্ছে।

পরক্ষণে দেখা যাচ্ছে, এসব পোস্ট আদৌ বিজ্ঞানসম্মত নয়। বাংলাদেশেও কোনো কোনো প্রতারক কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার নামে তথাকথিত ওষুধ বিক্রি করছে, যা ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।এদের মধ্যে কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ শিক্ষার আলোকবঞ্চিত। এদের মধ্যে সচেতনতাবোধের অভাব রয়েছে।এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য স্বীকৃত মাধ্যম তাদের বিজ্ঞানসম্মত নির্দেশনা সাধারণ মানুষের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেনি বলে প্রতারক গোষ্ঠী নানা প্রতারণা ও বিভ্রান্তির আশ্রয় নিতে পারছে।

কোভিড-১৯ খুবই ছোঁয়াচে একটি রোগ। এ রোগের সংক্রমণের চেইন কেটে দিতে পারলে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। সংক্রমণের চেইনটি কেটে দেয়ার জন্য ‘লকডাউনের’ ধারণাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।যে এলাকা বা যে অঞ্চল সংক্রমিত হয়ে পড়ছে সে এলাকার চারদিকে একটি সীমারেখা টেনে দিয়ে বলা হচ্ছে, এর ভেতরে কেউ প্রবেশ করবে না এবং এর ভেতর থেকে কেউ অন্যত্র যেতে পারবে না। লকডাউনের বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ।

কারণ লকডাউনের অধীন এলাকার জনগণের খাদ্য ও অন্যান্য দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে হয়। এসব মানুষকে নিজ বাসস্থান থেকে বের হতেও নিষেধ করা হয়। চীনের উহান শহরে এবং হুবেই প্রদেশে এরকম লকডাউনই করা হয়েছিল।আমরা সবাই জানি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। এ দলের সদস্যদের কঠিনভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। এছাড়া চীনের স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোও বেশ শক্তিশালী ও দক্ষ।

উহান ও হুবেই প্রদেশে লকডাউন চলার সময় স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং স্থানীয় সরকার জনগণের দৈনন্দিন চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এরকম পদ্ধতিতে লকডাউন কার্যকরের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো পৃথিবীর অনেক দেশেরই নেই। সুতরাং চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যা করা সম্ভব হয়েছে, তা ভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় করা সম্ভব নয়।

৩১ মার্চ সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩২১। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪১৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ৩৬ হাজার ৪৩৭ জন। বাংলাদেশে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন।

সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম; তথ্য সঠিক হলে এ নিয়ে আশ্বস্ত বোধ করা যায়। কিন্তু আক্রান্ত ৪৯ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু শতাংশের হিসাবে ১০ শতাংশেরও বেশি। মৃত্যুর এ হার খুবই ভয়াবহ।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে তা প্রকৃত রোগীর সংখ্যার প্রতিফলন নয়। রোগ শনাক্ত করার জন্য দু’দিন আগ পর্যন্ত একটি মাত্র সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। এ সংস্থাটি হল আইইডিসিআর। কোভিড-১৯-এর মহামারীর সূচনা হয় গত ডিসেম্বরে চীন দেশে।

এ মহামারী বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর আন্দাজ করতে পারত যে রোগটি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা দু’মাস সময় হাতে পেয়েছিলাম। এ সময় ব্যবহার করে রোগটি নির্ণয়ের প্রস্তুতিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি গ্রহণ সম্ভব ছিল।সম্ভব ছিল রোগ নির্ণয়কারী কিট এবং চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পিপিই সংগ্রহ করা। দুঃখের বিষয় হল, এগুলোর কোনোটাই সময়মতো সংগ্রহ করার রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রদানে অনেকেই বিরত থাকেন।

এমনকি কেউ কেউ রোগীর আগমন দেখে পালিয়ে যান। কিট ও পিপিইর সংকট অনেকাংশে এখন সমাধান হয়েছে বৈদেশিক সহযোগিতা এবং স্থানীয়ভাবে পোশাক কারখানায় উৎপাদনের ফলে। সবচেয়ে ট্র্যাজিক বিষয় হল, বেশ কিছুসংখ্যক রোগী গলাব্যথা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও এসব রোগীকে কোনো হাসপাতালই গ্রহণ করেনি।

দেখা গেছে, রাতভর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘোরাঘুরি শেষে সকালবেলায় মৃত্যুবরণ করেছে। ৩১ মার্চের যুগান্তরের একটি খবর হল, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও গলাব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে- এ সন্দেহে কয়েকজনের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। স্বজনসহ অনেককে নেয়া হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে মৃত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল, মরে গিয়ে প্রমাণ করতে হবে করোনাভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির স্বজনরা আইইডিসিআরে তাদের প্রদত্ত টেলিফোন নম্বর ও হট লাইনে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

হয় টেলিফোনগুলো ব্যস্ত অথবা সেগুলো থেকে কোনো জবাবই পাওয়া যায় না। আর জবাব পাওয়া গেলেও তা আসলে পূর্বে রেকর্ডকৃত একটি গৎবাঁধা উক্তি মাত্র। এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার ভিত্তিতে অনেক দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এ দেশে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। এসবের মূলে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের প্রতি অবহেলা এবং একটি জনবান্ধব স্বাস্থ্যনীতির অভাব।

বাংলাদেশ সরকার ‘লকডাইন’ শব্দটি ব্যবহার করেনি। লকডাউনের পরিবর্তে ছুটি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের মতো শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ২-৩ মাসে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন।

এদের সংখ্যাটি বিশাল। কিন্তু এদের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। অভিযোগ আছে, তারা হোম কোয়ারেন্টিনের বিধিবিধানগুলো মেনে চলছেন না। ফলে সামাজিক সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ কেউ সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, আগামী ২০ থেকে ৪০ দিন বাংলাদেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।

শব্দ হিসেবে সোশ্যাল আইসোলেশন বা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্নকরণ সঠিক ধারণা দেয় না। কোনো সভ্য সমাজে কাউকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার কথা ভাবা যায় না। সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি অন্তত ২ সপ্তাহ একাকী নিজ প্রকোষ্ঠে অবস্থান করে প্রমাণ করবেন তিনি সংক্রমিত হননি।

এ সময় তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনজনদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন। আসলে ব্যাপারটি সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নয়। এটি নিছক দৈহিক বিচ্ছিন্নকরণ। কোয়ারেন্টিন, বিশেষ করে হোম কোয়ারেন্টিন বহুলাংশে কার্যকর না হওয়ার পেছনে কাজ করেছে সচেতনতাবোধের অভাব।

জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে নিয়ম-শৃঙ্খলাবোধেরও ঘাটতি রয়েছে। এরকম ঘাটতি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী দিনে করোনার মতো ছোঁয়াচে রোগ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারব না।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ।

সবকিছু থমকে থাকায় কাজে বের হতে পারছেন না কুলি-মুটে, নির্মাণ ও আবাসন শ্রমিকসহ সব ধরনের দিনমজুর। দেশে মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক। এ খাতের শ্রমিকরা কোনো রকম চুক্তি ও নিয়োগপত্র ছাড়া কাজ করেন। এদের মধ্যে দোকান কর্মচারীরাও আছেন।

এ ছাড়া রয়েছে পরিবহন, বন্দর, নির্মাণ ও আবাসন এবং হাট-বাজারের শ্রমিক। সব মিলিয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন প্রায় দুই কোটি শ্রমিক। করোনা মহামারীর সাক্ষাৎ-অভিঘাত পড়েছে এ দুই কোটি দিনমজুরের জীবনে।

সংকট কেটে না যাওয়া পর্যন্ত এরা বেকার থাকবেন; কিন্তু এ অন্তর্বর্তীকালীন তাদের জীবন কীভাবে চলবে সে সম্পর্কে ভাবা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল পোশাক খাতের জন্য প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন। কীভাবে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে তার দিকনির্দেশনা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

এ অর্থ কি পোশাক শ্রমিকদের জন্য ব্যয় করা হবে? অথবা পোশাক শিল্প-মালিকদের জন্য বেইল আউট হিসেবে ব্যয় করা হবে? অথবা এ দুই রকম কাজের জন্যই ব্যয় করা হবে? এখন কথা হল, দুই কোটি বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা রাষ্ট্রের কাছে কোনো প্রকার দাবি কি পেশ করতে পারেন না? তাদের কথা ভুলে গেলে বড় রকমের অবিচার করা হবে।

এই মানুষগুলোরও ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচার অধিকার আছে। যদি এদেরসহ দেশের সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ, যারা কোনোরকম পেনশন পান না, তাদের জন্য একটি পেনশন তহবিল আগে থেকেই তৈরি করা হতো, তাহলে এ মানুষগুলো দুর্যোগের সময় এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারত।

করোনা মহামারী সংকট আমাদের অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। এর ফলে হয়তো এমন এক ধরনের সমাজ সংস্থা গড়ে উঠতে পারে, যেখানে সমৃদ্ধি ও দুর্গতি সমানভাবে ভাগ করে নেয়া সম্ভব হয়।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০২ এপ্রিল ২০২০/এমএম


Array