বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, আপনাদের গতকাল জানিয়েছিলাম প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ২৮টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। তাই যেসব কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে, তার প্রত্যেকটি কেন্দ্র কেন বন্ধ হয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। ইতিমধ্যে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কী কারণে কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার প্রয়োজন হয়েছে, এগুলো তদন্ত করা হবে। কে দায়ী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা বা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, যেই হোক না কেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে এই ২৮ কেন্দ্রের তারিখ নির্ধারণ করে আমরা পুনর্নির্বাচন করব। তবে প্রথম বা দ্বিতীয় প্রার্থীর মধ্যে ভোট প্রাপ্তির সংখ্যা অনেক বেশি হলে পুনর্নির্বাচনের দরকার হবে না। কাছাকাছি হলে ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।’
১০ মার্চ ভোট শুরুর আগেই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করে ইসি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এই উপজেলাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে নিরপেক্ষ হওয়ার আশা ছিল না বলেই স্থগিত করা হয়েছে। তবে যেসব উপজেলায় ভোট আগেই স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলো পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের সময় কিংবা অন্য কোনো সময় ভোট নেওয়া হতে পারে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা যত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকি, তাদের কিন্তু একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। আমরা সবচেয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দিই। কোনো কোনো কর্মকর্তা তাদের নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষে সে কাজ করতে চায়। এগুলো নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু এগুলো কঠোরভাবে দমন করি।
এ সময় তিনি বলেন, অনৈতিক কাজের কারণে গতকাল কয়েকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বা যে কেউ করুক না কেন, সেই দায়ভার তাকে দায়িত্ব নেওয়া হবে।’
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৯/ইএন