Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বুধবার (৭ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে গায়িকা ও ইনফ্লুয়েন্সার বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর। বর্ষার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেই প্রথমে জানানো হয় যে তিনি মারা গেছেন। এরপর নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারিশা হকও তার এক পোস্টে বর্ষার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

এই খবরে মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। নেটিজেনদের অনেকেই বর্ষার স্মরণে পোস্ট করতে শুরু করেন। তবে খুব বেশি সময় পার না হতেই আসে পাল্টা তথ্য—বর্ষা বেঁচে আছেন! বারিশা হক পরবর্তী এক পোস্টে পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর খবরটি মিথ্যা।তিনি দাবি করেন, বর্ষার ফেসবুক পেজ থেকে কে বা কারা এই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে, তা তার জানা নেই। তবে তখন পর্যন্ত এই ঘটনার উৎস বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে সরব হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি কড়া ভাষায় বর্ষাকে সতর্ক করে লেখেন, ‘রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো না হোক কোনোদিন। মৃত্যু নিয়ে এমন মজা আর নিয়েন না বা কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না ডিয়ার বর্ষা চৌধুরী। যেদিন সত্যি আপনি চলে যাবেন সেদিন আপনার জন্য শোক প্রকাশের জায়গাটা রাখেন অন্তত। জীবন সুন্দর হোক।’

অতীত জীবন ও সাম্প্রতিক বিতর্ক

বর্ষা চৌধুরীর ব্যক্তিগত জীবনও একাধিকবার এসেছে আলোচনায়। দুই বছর আগে তার দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন বর্ষা। তখন তাদের সন্তান ছিল মাত্র দেড় মাস বয়সী। রুমির সঙ্গে এটি ছিল বর্ষার দ্বিতীয় সংসারও।

রুমির মৃত্যুর পর বর্ষা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই আবেগঘন পোস্ট দিতেন, যেগুলো অনেকেই সহানুভূতির চোখে দেখতেন। কিন্তু চলতি বছরের ১৬ মার্চ হঠাৎ করে বর্ষা তৃতীয়বার বিয়ে করেন—এবারের বর ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা রাসেল মিয়া।

বিয়ের পর শুরুতে তাদের সম্পর্ক ভালো চললেও গত মাসে নতুন করে বিতর্কে জড়ান বর্ষা। ৬৫ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে বর্ষা রাসেলের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন। এরপর রাসেল মিয়া ফেসবুক লাইভে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৭ মে ২০২৫ /এমএম