বাংলানিউজসিএ ডেস্ক ::
দম
আব্দুল গাফফার গাজালী
আপন যুদ্ধ আপনার শুধু
মরে মরে হয়ে আছো তুমি বেঁচে,
বাঁচার যুদ্ধে কেউ নাই সাথী
দম যে তোমার সদা চাপিতেছে।
রোগ-শোক আর কঠিন ক্ষুধায়
কে পায় কষ্ট বলোনা আমায়,
সবার তাড়ায় সবাই যে থাকে
কেউ কারো তরে মাথা না ঘামায়।
যে দমে চলিছরে তুমি সদাই
দমেই যখন হওরে রুদ্ধ,
কেউতো করেনা বিদায়ের ক্ষণে
একাকার হয়ে দমের যুদ্ধ।
একার যুদ্ধে শুধুই একার
দমের যুদ্ধে রইবে যে ঘেমে,
পরাজয় হবে নিশ্চয় তোমার
দম যে হঠাৎ যাবেইরে থেমে।
দেখা দিওনা
সুমন ইব্রাহীম
এই প্রার্থনা করি বন্ধু দেখা দিওনা
এই দুনিয়ায় দেখা দিলে প্রাণে বাঁচবোনো
তুমি আমার বাগানেরও ফুল
তোমাকে ভালোবেসে করেছি যে ভুল
চাইলেও তুমি আর আমার হবে না।
সাথী আমি রয়েছি তোমারই আশায়
ঘরনী হয়ে আসবে আমারই বাসায়
সব কিছু দিলে আমায় মনটা দিলে না।
আমার লাগে ডর ভয়…
তোমার সাথে দেখা হলে কি জানি কি হয়
মনে চায় জড়িয়ে ধরি ধরতে পারিনা।
সুমন ইব্রাহীম করি এই কামনা
পরকালে পাড় করিও দয়াল রাব্বানা।
হঠাৎ করে দেখা হলে আসে যদি পুরনো দিনের খ্যালা
পাড়া-পড়শি দেখতে পেলে তোমার আমার মাথায়
ভাঙবে কলঙ্কেরি বেল।
প্রথম দিনের প্রথম স্মৃতি কভু ভোলা যায় না।
জেসমিন জুঁই-পাঁচ
জালাল জয়
মনের আকাশে আজ উড়িয়ে দাও
এক চিলতে সোনালি রোদ
শত রূপের এক বাগান যেনো
তোমার চোখেমুখে
মোহনীয় এক জাদুময় চোখ
যেনো জাদুকাটা নদী
হƒদয়কে কেটে কেটে
লেপে দিতে আজ মন শুধু চায়
বিদ্যুৎমাখা তোমার ঠোঁটে
যে নদীর বুকে ডুবে যেতে চাই
সেই নদীই তুমি
যে নীলের নীড়ে হৃদয় হারাতে
মন শুধু চায়, সেই নীলের নীলা তুমি
যেই উড়ে যাওয়া পাখির গানে
হারিয়ে যেতে চায় আমার ভুবন
সেই পাখিই তুমি
যেই ফুলের মালায় বেঁচে থাকতে চাই
ইহকাল পরকালের আশায়
সেই ফুলের মালা-ই তুমি
তুমি ছাড়া আমি নই, আমার আমি…
কয়েকটি রাজস্ব গোলাপ
ফকির ইলিয়াস
কিছুই দেয়া হয়নি তোমাকে। না হীরে, না মুক্তোর মালা
না নকশা, না নৃত্যরত চাঁদ। অথচ আমি নিয়মিত ফুল
কুড়োতে কুড়োতে প্রভাত, ফেরি করেছি তোমার দরজায়
সাজিয়েছি বৃষ্টিপ্রান্তর, একসাথে ভিজে ভিজে হাঁটবো বলে।
মানুষের জীবনে অনেক কিছু সঞ্চয় হয় না কারও কারও,
অনেক আগুনকে কাছে ডেকে বলা হয় না, শিষ্য হয়ে
থাকো হে! অথচ মানুষ দরদ দিয়েই লিখে দ্রোহের কেতন
আর একক আকাশে উড়াতে উড়াতে নিজেও উড়ে যায়।
কিছুই দেয়া হয়নি তোমাকে। শোনানো হয়নি মেঘমৌসুমের
গান। সুর তো নিজেই দিয়েছিলাম। তবু কেন কেউ গাইতে
চাইলো না আমার ছায়াকীর্তন! স্তব্ধতার মায়াজালে কেন
ঢাকা পড়ে রইল এই পৃথিবী ও তার পুত্র-কন্যাদের হস্তছাপ!
যেটুকু দিতে চেয়েছি, তা থেকেই স্রোতগুলো তুলে নাও হাতে
দেখবে সেখানেই ছড়িয়ে আছে
আমার কবিতার কয়েকটি রাজস্ব গোলাপ।
বিবেকের দংশন
সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান
যে জলে আগুন জ্বলে,
সে আগুন হৃদয়ে রেখেছি জ্বেলে
চোখের স্বপ্ন হয়েছে ধূসর,
ঘুম আসে না, ঘুমও স্বার্থপর।
চুদুরবুদুর গণতন্ত্রের ছায়া তলে
পাতিনেতাও চোখ রাঙিয়ে কথা বলে
রাত হলেই কষ্টগুলো ওঠে জেগে,
বিবেকের দংশনে কবিও নেই সুখে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ এমএম