Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস  :: বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কানাডায় পালিত হয়েছে ১৫৭ তম কানাডা ডে। দেশটির জন্মদিনে পূরো কানাডাবাসীর মধ্যে ছিল দেশটির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। বছরের বেশির ভাগ সময় বরফাচ্ছন্ন থাকা কানাডার জন্মদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে অনাড়ম্বর ব্যাপক আয়োজনে যোগ দিয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশীরাও।

কানাডাই বিশ্বের প্রথম মাল্টিকালচারিজমের দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়। যার মূলমন্ত্র সব নাগরিকের থাকবে সমান অধিকার ও দায়িত্ব। যার ফলে দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ২০ মিলিয়নের বেশি লোক অভিবাসী হয়ে দেশটিতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শান্তি রক্ষায় দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আয়তনের দিক থেকে কানাডা ৯ হাজার ৯৮৫ মিলিয়ন কিলোমিটার হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩৮ মিলিয়ন। যার রয়েছে ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটোরিজ। কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কানাডার বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা যোগাযোগব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে দেশ হিসেবে বিশ্বের সবার কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল অনুষ্টান শুরু হয়। কানাডার জন্মদিনের কেককাটা, ছোটছোট শিশু-কিশোরদের ফেসপিন্টর, জর্লি জার্ম্পসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং কানাডার আদিবাসীদের শারীরিক কসরত ছাড়াও ছিল আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষ্যে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন সিটির মধ্যে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং আলবার্টা প্রিমিয়ার ডানিয়েল স্মিথ পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন দিবসটি উপলক্ষ্যে।

ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ড. মোঃ বাতেন বলেন, দূর প্রবাসে থাকলেও মাতৃভূমি আমাদের হৃদয়ে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা আমাদের আশার আলো দেখায়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম রোল মডেল দেশ। কানাডার জন্মদিনে দেশটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।শিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, আমরা আনন্দিত যে কানাডায় বসে কানাডার ১৫৭ তম জন্মদিনে অংশগ্রহণ করতে পারছি। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরো প্রচুর সংথ্যক বাংলাদেশিরা এদেশে এসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করুক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আইসিডিসি’র পরিচালক এ্যান্থনি জ্যাকব বলেন, বাংলাদেশ যেমন আমাদের অহংকার পাশাপাশি কানাডাও আমাদের কাছে অহংকার, কানাডার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশকে যে কটি দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল কানাডা তাদের মধ্যে অন্যতম দেশ। রম্য লেখক বায়াজিদ গালিব বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের কোমলমতি শিশুদের উপস্থিতি সত্যি অভিভূত করে। জন্মগতভাবে ওরা কানাডিয়ান কালচার আয়ত্ত করলেও হৃদয়ে বাংলাদেশ কে ধারণ করছে। শুভ জন্মদিন প্রিয় কানাডা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে যে সকল দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো তাদের মধ্য অন্যতম দেশ কানাডা। সেই কানাডার জন্মদিনেই দেশটির আরো উত্তোরত্তোর সমৃদ্ধি হোক, প্রচুর সংখ্যক বাঙ্গালীরা এখানে এসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং প্রবৃদ্ধিতে বিরাট ভুূমিকা রাখুক এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার প্রবাসী বাঙ্গালীদের।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/০২ জুলাই ২০২৪ /এমএম