Menu

 

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক প্রবাস, বাংলা ভয়েস ::‌ কানাডার ক্যালগেরির প্রবাসী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ড.রিতা কর্মকার কে সংবর্ধনা দিয়েছে ক্যালগেরির প্রবাসী বাঙালিরা ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে অধ্যাপক শেখর কুমার স্যানালের সভাপতিতে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীসুফল বৈরাগী, বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি’র সভাপতি কয়েস চৌধুরী, অজিত মুহুরী, খোকন সিকদার, জয়ন্ত বসু, দেবাশিস রায়, ডাঃ পরিমল নাথ, সুব্রত বৈরাগী, মাধবী রায়, শাপলা রায়, সুপর্ণা বণিক শুভ্রা, রিতা কর্মকারের স্বামী রঞ্জন নন্দী, তাঁর ছেলে রাতুল এবং নীলাঞ্জনা রায় সহ ক্যালগেরির সুধীজনেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নীলাঞ্জনা রায়। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শেখর কুমার স্যানাল। মঞ্চে রীতা-রঞ্জন নন্দী কে করতালির মধ্যে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। রীতাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপহার দেওয়া হয় একটি সরস্বতীমূর্তি ও ক্রেস্ট। পরে সাফল্যর কেক কাটা হয়।

অনুষ্ঠানে রিতা কর্মকারের স্বামী রঞ্জন নন্দী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ ক’রে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানায়। রীতা-রঞ্জনের দ্বাদশবর্ষীয় বালকপুত্র রাতুলের অল্প কয়েকটি কথায় মা সম্বন্ধে আবেগ সবাইকে মুগ্ধ করে।

ড.রিতা কর্মকার “প্রবাস বাংলা ভয়েস” কে বলেন, ক্যালগেরিবাসীর ভালোবাসা আর আন্তরিকতায় আমি অভিভূত। আমার এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাদের উৎসাহ ও ভালোবাসা। বিশেষ করে আমার পরিবারের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।

আর যার কথা না বললেই নয়, সে আমার স্বামী রঞ্জন নন্দী। ওর সহযোগিতা না পেলে আমি কিছুতেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারতাম না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি আরো ভালো কিছু সমাজ ও কমিউনিটি কে উপহার দিতে পারি।

উল্লেখ্য ড.রিতা কর্মকার আমেরিকা থেকে ‘অর্গানাইজেশানাল লিডারশিপে’ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ঢাকার বাসিন্দা রীতা অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন ব্যবসায় প্রশাসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কানাডায় আসার পর করেছেন এমবিএ।

এছাড়াও তিনি বাঙালিজাতির সাংস্কৃতিক ক্রান্তিলগ্নে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার ঐতিহাসিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ থেকে সংগীতে স্নাতক। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত বিশেষজ্ঞ ওয়াহেদুল হক এবং বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম প্রফেসর ড. সানজিদা খাতুনের পদপ্রান্তে বসে রবীন্দ্রসংগীতের শিক্ষালাভের বিরল সৌভাগ্য রয়েছে রীতার।

হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছে ড. রঙ্গায়ণ ও ড. ভাটের কাছে। রীতা ক্যালগেরীর মাউন্ট রয়্যাল কলেজে হিন্দুস্থান ক্লাসিক্যাল ভোকালের ইন্সট্রাক্টর ছিলেন বেশ কয়েক বছর। পেরুর রাজধানী লিমাতে সপ্তাহব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ওয়ার্কশপে’ অংশ গ্রহণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।

দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ-কানাডা এসোসিয়েশানের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে ক্যালগেরীর বঙ্গসংস্কৃতি অঙ্গনে রীতার রয়েছে প্রভূত অবদান। এতো কিছুর পরেও তিনি ক্যালগেরীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ