আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: জাস্টিন ট্রুডো ছুটিতে যাচ্ছেন, এ খবর এখন শুধু কানাডিয়ান পত্রিকার শিরোনামই নয়, খবরটি কানাডিয়ান অনেকেরই মুখে মুখে। তাঁর একমাত্র কারণ বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সব বয়সী মানুষের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়।
কানাডার স্থানীয় পত্রিকা কানাডিয়ান প্রেস রিপোর্ট করেছে, প্রধান মন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অবকাশকালীন ছুটি সবসময়ই পত্রিকার হেডলাইন বা শিরোনাম হয়। পত্রিকাটি জানায়, এই অবকাশকালীন ছুটির যাবতীয় ব্যয়ভার তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বহন করা হবে। তাঁরা এক সপ্তাহের জন্য কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পশ্চিম উপকূলের কোথাও থাকবেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে সম্প্রতি সেপারেশন হওয়া তাঁর স্ত্রী সোফি
গ্রেগরি ট্রুডো এবং তাদের সন্তানেরা। এই দম্পতি অফিসিয়ালি আলাদা হয়ে গেলেও সন্তানদের দেখভালে তাঁরা প্রতিশ্রুত বদ্ধ।আগস্টের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফি গ্রেগরি ট্রুডো আলাদা আলাদাভাবে বিবূতি দিয়ে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের সেপারেশনের ঘোষণা দেন। তারপর থেকেই এই দম্পতিকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় আলোচনা, সমালোচনা ও সহানুভূতির ঝড় বয়ে যায়। যদিও ট্রুডো এবং সোফির সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো। এ মাসের শুরুতে সেই গুঞ্জনই বাস্তবে পরিণত হয়।
অনেক কানাডিয়ানদের মধ্যে একই প্রশ্ন কেমন আছেন তাঁরা।সবার মাঝে একই বোধ! এ কি হলো? এমন তো হবার কথা ছিল না?সোসাল মিডিয়ার বদৌলতে খবরটি জানার পরে সবাই যেন নিজের মতো করে নিজের কোন দুঃখ- কষ্ট ভেবে নিরব হয়ে গেছে! এ যেন একান্তই নিজের ! একান্তই ব্যক্তিগত!
খবরটি জানার পরে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের নাগরিকরা যেন হত-বিহ্বল। অনেকেই সোসাল মিডিয়ার থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় পত্রিকা দেখছে খবরটি আসলেই সত্য কিনা? আবেগপ্রবণ অনেক প্রবাসী বাঙালিরা এখনও বিশ্বাস করে সব ঠিক হয়ে যাবে, সব আগের মত হয়ে যাবে! ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তাঁরা আবার একসাথে বসবাস করবেন। ফুলের বাগানে পানি দিয়ে যত্নের সাথে লালন পালন করবেন।কতটা শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও বিশ্বাস থাকলে মানুষ এটা ভাবতে পারেন!
কোভিড সময়কালীন মানুষের প্রতি ট্রুডো ও তাঁর সরকারের অকৃত্রিম ভালোবাসা, অভিবাসী প্রক্রিয়া সহজীকরণ সহ বিভিন্ন কারণে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রশংসিত এবং আলোচিত হলেও এবারকার আলোচনা বা পত্রিকার হেডলাইন যেন এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
কিভাবে ভালোবাসা দিতে হয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তা জানেন, কিন্তু কিভাবে ভালোবাসা পেতে হয় তা হয়তো এই সেপারেশনের মধ্যে দিয়েই তিনি বিশ্বের কাছে আরো একবার প্রমাণ করলেন। বরাবরের মতো এবারেও তাদের অবকাশ যাপন একটু ভিন্ন হলেও সিংহভাগ কানাডিয়ানরাই তাদের প্রতি শুভকামনার দূষটিকোন থেকেই দেখেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১১ আগস্ট ২০২৩ /এমএম





