Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  দেখতে দেখতে তিন তিনটা অস্বাভাবিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বছর কেটে গেল। ২০২০ ও ২১ সাল গেল করোনা ১৯-এর আতঙ্কে-ভয়াবহ আতঙ্ক। ২০২২ গেল রাশিয়া ও উইক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি দেখতে দেখতে। এখন বাংলা মাঘ মাস। কয়েকদিন আগে পালিত হলো পৌষ সংক্রান্তি পিঠাপুলির উৎসব। ঘরে ঘরে এখন নতুন ধান-আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত বোরো ধানের প্রস্তুতিতে। চালের কষ্ট নেই, দাম একটু বেশি। সরকারের গুদামে ১৬ লাখ টনেরও বেশি খাদ্যশস্য। অমদানির ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু শঙ্কা আমাদের কাটছে না।

২০২৩ সাল হবে আরেক অস্বাভাবিক বছর। আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশন্স কনফান্সে অল ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এবং বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ২০২৩ সাল হবে মন্দার বছর। বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে যা ১৯৯০-এর পর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। বলা হচ্ছে পৃথিবীর অনেক দেশই খাদ্যাভাবে ভুগবে। হতে পারে দুর্ভিক্ষ। এ দুশ্চিন্তা সর্বত্র। আমাদের সতর্কতা হিসাবে সরকার খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ নজর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন এক ইঞ্জি জমি অনাবাদি না রাখতে। কারণ চাল-গম ইত্যাদি আমাদের আমদানি করে খেতে হয়।

বছরে প্রায় ৬০-৭০ লাখ টন গম আমদানি করি আমরা। এ চাল-গমের অভাব বিশ্বে দেখা দিতে পরে। শুধু চাল ও গম নয় আমরা আমাদের ভোগ্যপণ্যের প্রায় সবকিছুই আমদানি করি। আমদানি করতে হয় জ্বালানি তেল ও গ্যাস। তুলা ও যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করি প্রচুর। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন (বিলিয়ন সমান শত কোটি) ডলারের পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। এর একটা অংশের ফিন্যান্স আসে রপ্তানি থেকে। একটা অংশের ফিন্যান্স আসে রেমিট্যান্স থেকে। কিছুটা আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতার টাকা/ডলার। এ জায়গাতেই গোল বেঁধেছে। যেহেতু আমরা আমদানিনির্ভর ও বাণিজ্য ঘাটতির দেশ তাই আমাদের কাছে ডলার বহু মূল্যবান। আন্তর্জাতিক বাজার আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নানা দিকে। রেমিট্যান্সে ক্ষতিগ্রস্ত, রপ্তানিতে ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ আমাদের আমদানিতে রেহাই নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় জিনিসপত্রের দাম-বিশেষ করে তেলের দাম। খরচ বেড়ে যায় পরিবহণের অর্থাৎ জাহাজ ভাড়ার। এক তেলের দামে আমরা হয়েছি জেরবার। তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারকে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়। ৪০-৪৫ শতাংশ হারে বাড়ে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম। আর যায় কোথায়, অভ্যন্তরীণ বাজারে ঘটে বিশাল মূল্যস্ফীতি। ধান-চাল, তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, কাঁচামাল-সব কিছুর দাম বেড়ে যায় নজিরবিহীনভাবে। ঘটে মারাত্মক মূল্যস্ফীতি। সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতির হার এখন ৯ শতাংশ। অথচ সে হারে মানুষের আয় বাড়েনি, মজুরি বাড়েনি। বিশেষ করে কষ্ট সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের। তাদের জীবনে ২০২২ সাল ছিল একটা অভিশাপের মতো। চাল, গমের দাম, তেলের দাম বাজারে মারাত্মকভাবে বাড়ে। বেড়েছে মাছ-মাংস, তরিতরকারি, হাঁস-মুরগির দাম। ফলে কষ্টের কোনো সীমানা নেই।

এ মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যস্ফীতি। এদিকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যায়। ২০-২৫ শতাংশ হারে টাকার মান হ্রাস পায় ডলারের বিপরীতে। এতে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়ে ২০২২ সালে। যেখানে ডলারের দাম ছিল ৮৫-৮৬ টাকা, সেখানে এখন তা ১০৪-৬ টাকা। ডলারের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এমন একটি জিনিস আমদানিতে টাকা লাগে বেশি। ঋণ বেশি। অথচ ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট। সব ব্যাংকে ডলার নেই। ডলার সংকট মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। আমদানি সংকুচিত করে ডলারের চাহিদা কমানোর চেষ্টা চলে ২০২২ সালজুড়ে। ১০০ টাকার বেশি পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়। বড় বড় ঋণপত্র খোলাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বড় বড় ঋণপত্রকে গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে আনা হয়, যাতে ডলারের অপচয় না হয়। ব্যবসায়ী ডলার সংকটে ভুগছে। তারা ডলারের অভাবে প্রয়োজনীয় পণ্যের ঋণপত্র খুলতে পারছে না।

সামনে পবিত্র রমজান। এ উপলক্ষ্যে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে হবে। অথচ বাজারে ডলার সংকট। ব্যবসায়ীরা বলছেন তাদের কোটার মাধ্যমে ডলার সররাহ করতে যাতে রোজার মাসে পণ্যদ্রব্যের সংকট দেখা না দেয়। এদিকে গ্যাসের অভাব চলছে। বাসাবাড়িতে তো বটেই, শিল্পেও। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ অথবা আংশিকভাবে তারা কাজ চালাচ্ছে। ফলে পণ্যের সরবরাহে সংকট আছে। ব্যাংকে ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে ২০২২ সালে। অথচ পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ঋণের প্রয়োজন বেড়ে গেছে। এতে আমানত ও ঋণের মধ্যে একটা বড় ‘মিসম্যাচ’ তৈরি হয়েছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো যাচ্ছে কলমানি মার্কেটে যা আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার। এখানে যেসব ব্যাংকের উদ্ধৃত টাকা আছে তারা ঘাটতি ব্যাংককে টাকা ধার দেয় সাময়িকভাবে। এখন আন্তঃব্যাংক মানি মার্কেটে সুদের হার বেড়ে হয়েছে ৯-১০ শতাংশ। এটা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে আমানতের ওপর সর্বোচ্চ সুদের হার মাত্র ৬ শতাংশ ২০২২ সালজুড়েই অব্যাহত ছিল। ভুক্তভোগী আমানতকারীরা। তারা মূল্যস্ফীতির কারণে কষ্টে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতের ওপর সুদের হারে ‘ক্যাপ’ লাগিয়ে বসে আছে।

অনেক ব্যাংক এই ‘ক্যাপ’ ভেঙে আমানত নিচ্ছে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য। সংকট ক্যাশের। অনেক ব্যাংকে ক্যাশের অভাব। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের উদারভাবে ঋণ দিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। শুধু প্রয়োজনানুসারে ব্যাংকগুলোকে নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এ ‘হাই পাওয়ার্ড মানি’ দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের দেনা শোধ করছে। এতে বাজারে লিক্যুইডিটি কিছুটা রক্ষিত হচ্ছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে হঠাৎ সারা দেশে লোডশেডিং প্রবর্তিত হয় যার ধকল সইতে হয় সবাইকে। আশার কথা বছরের শেষের দিকে লোডশেডিং সমস্যা অনেকটা প্রশমিত হয়। এদিকে রেমিট্যান্স যে পরিমাণে আসার কথা ছিল, সে পরিমাণে তা আসেনি ২০২২ সালে। লোক/মানবসম্পদ রপ্তানি হয়েছে বেশি। কিন্তু সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি। এতে গ্রামাঞ্চলে ‘ক্যাশ’ সরবরাহ বেশ কিছুটা বিঘ্নিত হয়। ভোগ পর্যায়ে রক্ষাতে বিঘ্ন ঘটে। রপ্তানির অবস্থাও তথৈবচ। যে হারে রপ্তানি বাড়ার কথা ছিল সে হারে রপ্তানি বাড়েনি ২০২২ সালে। কিন্তু আমদানির পরিমাণ মোটামুটি একই ছিল। অধিকন্তু যেসব আমদানি বিলের টাকা অপরিশোধিত ছিল তা পরিশোধ করার জন্য ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়ে। ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্ট’ ঘাটতির সম্মুখীন। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর দ্বারস্থ হয়েছে। কথা আছে আইএমএফ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ দেবে। আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ডলার ছাড় দেওয়া শুরু হলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ কমতে কমতে ৩২ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। অথচ এর পরিমাণ কিছুদিন আগেও ছিল ৪৪-৪৫ বিলিয়ন ডলার। ডলারের অভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে যা অনভিপ্রেত। আইএমএফ-এর বিরোধী। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো এ বিষয়ে অনড়। তবে একথা বলা চলে আমাদের রিজার্ভ এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য রিজার্ভের চাপ বাড়ছে। আগামী বছর থেকেই আমাদের দরকার হবে বেশি বেশি ডলার যা দিয়ে আগের ঋণ ও তার সুদ পরিশোধ করতে হবে। বেসরকারি খাতেরও বৈদেশিক ঋণ রয়েছে। সে বোঝাও বহন করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

এ প্রেক্ষাপটেই এসেছে ২০২৩ সাল। এ সালে পড়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ ছয় মাস। অর্থনীতি যে চাপের মধ্যে পড়েছে তার প্রতিফলন ঘটছে প্রবৃদ্ধির ওপর। বিশ্বব্যাংক আগে বলেছিল আমাদের প্রবৃদ্ধি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি এখন বলছে আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ হারে। সরকারের প্রবৃদ্ধির টার্গেট ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সরকারও তার টার্গেট কমিয়ে করেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারি ব্যয় হ্রাস করা হচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছোট করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের অর্থনীতি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আভাস দেওয়া হচ্ছে যে, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। এমনিতে কৃষির উৎপাদনশীলতা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। আবাদি জমি কমছে। যদি তা হয় তাহলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জন্য সরকার আবাদি জমিতে চাষাবাদ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার ব্যবস্থা করছে। সরকারের হাতে খাদ্যশস্য আছে ১৬ লাখ টনের মতো। আমন চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজন অনেক বেশি। এক কোটিরও ওপর গরিব পরিবারকে খাদ্যশস্য দিতে হবে। কারণ তারা দিন দিন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। মানুষের রোজগার বাড়ার কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। মজুরি বাড়ছে ধীরগতিতে মূল্যস্ফীতির তুলনায়। দ্বিতীয় অংশই ডলারের বাজার নিয়ে। ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল রাখা এখন জরুরি কাজ। রেমিট্যান্স যদি আশানুরূপ না বাড়ে, রপ্তানি যদি না বাড়ে তাহলে ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখা কঠিন হবে।

বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম মোটামুটি একই থাকবে। এমতাবস্থায় মূল্যস্ফীতি ঠেকানো কঠিন হবে। এখন এর হার ৯ শতাংশ। যদি তেলের দাম বাড়ে তাহলে হবে সর্বনাশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে বিশ্বমন্দা থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন হবে। আগেই বলা হয়েছে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে ১ দশমিক ৭ শতাংশে। আরও বলা হয়েছিল ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে ৩ শতাংশ হারে। এটা আর ঠিক থাকছে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা ও চীনে মন্দা ধীরে ধীরে গভীর হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতির সঙ্গে এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সারা বিশ্বে মন্দা দেখা দিলে এর থেকে আমরা ২০২৩ সালে রেহাই পাব না। জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা হবে আরেক বড় সংগ্রাম। আমদানি ঠিক রাখাও হবে সংগ্রামের কাজ। ভর্তুকি পর্যন্ত ঠিক রাখা কঠিন হবে। ভর্তুকি হ্রাস করা হলে তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আবার বাড়তে পারে। এর অর্থ সহজেই বোধগম্য। মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। সামনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। জুন মাসেই বাজেট উঠবে সংসদে। বাজেটে ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। অথচ আইএমএফ বাজেট ঘাটতির বিরোধী। সরকার রাজস্ব কীভাবে বাড়াবে তা আরেক বিবেচ্য বিষয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আমদানির পরিমাণ কম। ভ্যাট আদায় আশানুরূপ নয়। আয়কর সংগ্রহের মাত্রাও আশানুরূপ নয়। এমতাবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যবস্থা কী হবে তা এক কঠিন প্রশ্ন। রয়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) টাকা সংগ্রহের প্রশ্ন। ব্যাংক ঋণ সরকার কত বাড়াবে-কীভাবে বাড়াবে তাও বিবেচ্য। এক কথায় বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সরকার। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্যনিরাপত্তা রক্ষা। খাদ্যাভাব যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে প্রথম। উন্নয়ন ঠিক আছে। কিন্তু পেটে ভাত এক নম্বর অগ্রাধিকার। সরকার কীভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয় তাই দেখার বিষয়। বলাবাহুল্য এসব চ্যালেঞ্জ কোনো প্রশাসনিক/আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নয়। এসব মোকাবেলা করতে হয় রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দ্বারা। আশা করি এর অভাব হবে না।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ