বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আসন্ন ঈদুল আজহায় বাসের অগ্রিম টিকিটের চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, এ বছর ঈদে অগ্রিম টিকিটের কোনো চাহিদা নেই। তাই অগ্রিম টিকিট বিক্রির সম্ভাবনা কম। তবে চাহিদা থাকলে অবশ্যই বিক্রি করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এই পরিবহন মালিক নেতা এ কথা বলেন।
এদিকে ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত নৌবন্দর বলে জানিয়েছেন ঢাকা নৌবন্দরের বন্দর বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ঈদে নৌপথে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। ঈদে দূরপাল্লার বাসযাত্রার ব্যাপারে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়ি যেতে মানুষের আগ্রহ কম। তাই এবার ঈদুল আজহায় অগ্রিম টিকিটের চাহিদা নেই। অগ্রিম টিকিটের চাহিদাও কম।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে ২৪ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। দীর্ঘ দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে গত ১ জুন থেকে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেয়া হলেও সেই যাত্রীই পাওয়া যাচ্ছে বাসে। ফলে এই ঈদেও মানুষ ঘরবন্দি থাকবে।
ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত নৌবন্দর: ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত নৌবন্দর বলে জানিয়েছেন ঢাকা নৌবন্দরের বন্দর বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাটে অবস্থিত তার কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় বিষয়ে থাকবে বিশেষ তদারকি। নৌপথে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ ছাড়া নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক্ষেত্রে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় থাকছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান, তবে করোনা ভাইরাস থাকায় এ বছরের যাত্রা অন্য সব ঈদযাত্রার চেয়ে ভিন্নতা এনেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধিটা। টার্মিনালের প্রবেশমুখ ও লঞ্চে প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক টানেলের পাশাপাশি থাকবে তাপমাত্রা নির্ণয়ে থার্মাল স্ক্যানার। প্রথমবারের মতো সদরঘাটে নতুন ভবনের ছাদে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার।
সদরঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদযাত্রার জন্য প্রস্তুত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রতিটি প্রবেশমুখে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে তাপমাত্রা নির্ণয়ের পাশাপাশি জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। করোনা ভাইরাস থাকায় অন্য ঈদের তুলনায় এবার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ঢাকা নৌবন্দরের বন্দর বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, এবার করোনা মোকাবিলা নৌযাত্রাকে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। লঞ্চঘাটের প্রতিটি প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক টানেল থাকবে। তাছাড়া লঞ্চে প্রবেশের আগে টানেলের মাধ্যমে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো সদরঘাটে নতুন বিল্ডিংয়ের ছাদের ওপর ওয়াচ টাওয়ার বসছে। তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা। তাছাড়া নৌপথে ঈদযাত্রায় কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় থাকবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বুধবার নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছিলেন, ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরের তিনদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সূর্যাস্তের পর সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরের তিনদিন পর্যন্ত দিনের বেলায়ও সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৭ জুলাই ২০২০/এমএম





