বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ধূমপান ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে প্রতি বছরই অনেক মানুষ মারা যায়।আর এই ফুসফুস রক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধূমপান ছেড়ে দেয়া। কারণ ধূমপানের ফলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই অবস্থা থেকে আবারও সুস্থ পরিস্থিতিতে ফিরে ফুসফুস। তবে অবশ্যই ধূমপান ছাড়তে হবে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, শুধু ধূমপান ছাড়ার পরই ফুসফুসের সেই ক্ষমতা কাজ করে। খবর বিবিসি বাংলার।যদিও আগে মনে করা হতো যে, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, তা আর পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবে এখন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন অন্য কথা।নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে– ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া ফুসফুসের কয়েকটি কোষই পরে ফুসফুসকে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে পারে।
টানা ৪০ বছর ধরে প্রতিদিন এক প্যাকেট সিগারেট খাওয়ার পর যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তাদের ফুসফুসের ক্ষেত্রেও এই বিষয় দেখা গেছে। সিগারেটে থাকা হাজার ধরনের রাসায়নিক ফুসফুসের কোষের ডিএনএকে পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে সুস্থ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষে পরিবর্তন করে।
সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে প্রকাশিত হয়েছে, ধূমপায়ীদের ফুসফুসে ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়ার আগে থেকেই ফুসফুসের কোষ ব্যাপকহারে পরিবর্তিত হতে থাকে।ধূমপায়ীদের শ্বাসনালি থেকে নেয়া কোষের অধিকাংশই ধূমপানের ফলে পরিবর্তিত হয়েছে বলে দেখা গেছে। কোনো কোনো কোষে ১০ হাজার পর্যন্ত জিনগত পরিবর্তনও লক্ষ করা গেছে।
কেউ যখন ধূমপান ছেড়ে দিলে অপরিবর্তিত কোষগুলো সংখ্যায় বাড়তে থাকে। আর ফুসফুসের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে প্রতিস্থাপিত করতে থাকে। যেসব মানুষ ধূমপান ত্যাগ করে, তাদের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কোষের গঠন কখনও ধূমপান না করা মানুষের কোষের গঠনের মতো হয়ে যায়।
স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের ড. পিটার ক্যাম্পবেল বলেন, কিছু কোষ রয়েছে, যা অনেকটা জাদুকরীভাবেই শ্বাসনালির প্রান্তগুলোকে পুনর্গঠন করে। তিনি বলেন, ৪০ বছর ধূমপান করার পরও যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত কোষের মাধ্যমে সুস্থ কোষ পুনঃনির্মাণের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ৩১ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম





