বাংলানিউজসিএ ডেস্ক ::
জন্ম এ দিনে
গোলাম নবী পান্না
ফুল ফুটে সৌরভ
ছড়াতেই চায়,
ফুলের ছড়ানো ঘ্রাণ
সকলেই পায়।
শিশুরাও ফোটা ফুল
নিষ্পাপ হয়,
আচরণে ফুটে ওঠে
সেই পরিচয়।
রাসেলও ছিলো সেই
প্রিয় ফোটা ফুল,
শিশু এ মানুষটির
ছিলো না তো ভুল।
জন্ম এ দিনে তাই
খুঁজে ফিরি তাকে,
মন বলে, এসে যদি
সাড়া দিতো ডাকে!
শেখ রাসেলের জন্মদিনে
শচীন্দ্র নাথ গাইন
মায়ের হাতে ভাত খেত আর চলত বাবার সাথে,
তাদের ছাড়া কাটত না দিন, ঘুম হতো না রাতে।
সবে তখন মন দিয়েছে বিদ্যালয়ের পাঠে,
পায়রা নিয়ে মজার খেলা খেলেই সময় কাটে।
একভোরে হয় শব্দ বিকট, জেগেই দেখে চেয়ে,
সে াতের ধারায় রক্তনদী চলছে সিঁড়ি বেয়ে।
ডুকরে কেঁদে বুক ভাঙে তার, চায় যেতে মা’র পাশে,
তার আকুতি শোনার সাথেই বর্বরেরা হাসে।
দেখেই ভয়ে আঁতকে ওঠে নিথর দেহের মাকে,
ডাকার আগেই জল্লাদেরা ছুঁড়ল গুলি তাকে।
তাজা খুনে হাত রাঙিয়ে পশুর দলে ফোঁসে,
অবুঝ শিশু হত্যা করে পিশাচরা কোন্ দোষে?
সেই ছেলেটার জন্মদিনেও শোকে মানুষ কাঁদে,
খুশির আলো ছড়ায় না তাই সূর্য এবং চাঁদে।
নিষ্পাপ মুখ জড়িয়ে থাকে স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে,
শেখ রাসেলের জন্যে মনে ব্যথার সুরই বাজে।
শেখ রাসেল
দিপংকর দাশ
প্রজাপতির মতো
শেখ রাসেলের মিষ্টি মুখে
রঙিন স্বপ্ন ভাসতো সুখে
দুঃখ ভুলে শত।
রংধনুর রঙ মেখে
শেখ রাসেলের মধুর হাসি
সজীব ছিলো বারো মাসই
সজীবতায় ছেঁকে।
আকাশের নীল মেঘে
সূর্য কিরণ মেলতো পাখা
রঙ তুলিতে স্বপ্ন আঁকা
স্রোতস্বীনির বেগে।
আতাই পাতাই
মার্জিয়া ইসলাম
আতাই পাতাই দুইটি বুড়ো
দেখতে যেন পাহাড় চুড়ো
তরতরিয়ে উঠতে গিয়ে
পিছলে পড়ে হাড্ডি গুঁড়ো।
ঐ যে দেখ দুষ্টু ছেলে
পড়ছে ধপাস ধাপ
তাই না দেখে খোকন কাঁদে
কোথায় গেল বাপ।
মার্জিয়া কয় ঘুমায় রে
আমার ছড়া ফুরায় রে।
-স্ট্যান্ডার্ড-১, জাহানাবাদ ইংলিশ স্কুল, খুলনা
এই যে নদী
ফয়েজ হাবীব
এইযে নদী, বাঁশের সাকো
স্বচ্ছ নদীর বুক
ডুব-সাঁতারের দিনগুলো সেই
জাগায় মনে সুখ।
কলার ভেলা শক্ত করে
নদীর বুকে ছাড়
দস্যিপনার উচ্ছ¡াসে সেই
খুশির খুঁটি গাড়।
কেউবা বসে কেউবা শুয়ে
মনের সুখে আহ
মাঝ নদীতে ছুটতো ভেলা
বলতো সবাই বাহ।
উড়ন্তমন ভেজা শরীর
ভরা নদীর জল
ঢেউয়ের সাথে সাথেই চলা
দুষ্ট ছেলের দল।
সব ছাড়িয়ে পাড়ে এসে
খুশির আরো তাল
বাড়ি এসে নিমিষ হতো
শুনে মায়ে গাল।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৪ অক্টোবর ২০১৯/ এমএম