জুলাই আসে ধীরে—
নীরব অথচ অশান্ত এক পদচিহ্নে।
আকাশে জমে থাকা মেঘ, জমিনে ঘাম,
আর মানুষের চোখে বিস্ময়ের ছায়া।
রাস্তায় নামে ছেলেমেয়েরা—
নোটবুক ফেলে দেয়, তুলে নেয় সংবেদনশীল পোস্টার।
নীরব ক্লাসরুমের দেয়াল ভেঙে পড়ে
তাদের কণ্ঠের প্রতিধ্বনিতে।
এই ছায়া ছিল বহুদিনের—
অবহেলার, অপমানের,
আর অনুপস্থিত ভবিষ্যতের দীর্ঘ অন্ধকার।
কিন্তু হঠাৎ কোথা থেকে যেন
আলো নেমে আসে—
জুলাইয়ের দগদগে রোদে জন্ম নেয় প্রতিরোধের রশ্মি।
এবার কারও ঠোঁট কাঁপে না,
চোখে ভয় নয়—
জ্বলে এক অদ্ভুত জেদ,
এক অনমনীয় দীপ্তি।
আলো তখন শুধু সূর্যের নয়—
আলো তখন প্রশ্নের,
আলো তখন সাহসের,
আলো তখন এক ছাত্রীর চোখে,
যে বলে, তোমাদের ছায়া আমাদের থামাতে পারবে না।
জুলাই জানে, ছায়া সহজে পিছু হটে না।
তবু একবার আলো দিগন্ত ছুঁয়ে গেলে
সে আর থামে না—
বাড়তে থাকে, ছড়িয়ে পড়ে,
জ্বলে ওঠে মানুষের হৃদয়ে।
এভাবেই জুলাই হয়ে ওঠে ইতিহাসের সাক্ষী—
যেখানে ছায়া হার মানে,
আর মানুষ শেখে
রশ্মির পথে হাঁটতে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





