ছন্দ-দোদুল মন্দ বাতাস হাসে
উপচে পড়া চাঁদের বারান্দায়
মাঝ নদীতে মেঘের ভেলা ভাসে
রাত্রি নামে একলা চেয়ারটায়।
হঠাৎ ঝড়ে, বৃষ্টি নামে; ঝুম্!
শহরজুড়ে ভূতের দীর্ঘশ্বাস!
দুচোখ বুজে হাতড়ে ফিরি ঘুম
নিত্য আমার চিত্তে কারাবাস।
খুব গভীরে দিচ্ছে উঁকি কেউ
চার দেয়ালে ঘুরছে হাহাকার,
নদীর কূলে আছড়ে পড়ে ঢেউ
তব্দা রাতে গ্লাস ভেঙে ছারখার!
মিলিয়ে গেল ডানার ঝাপটা দূরে
শরীর ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে বুঝি
ডাকছে ডাহুক তখন ব্যাকুল সুরে
আঁতকে উঠে, তোমার ছায়া খুঁজি
কে ওখানে? কেউ ছিল না; ভ্রম!
নিজের ছায়ায় নিজেই উঠি কেঁপে
ঘুম আসে না বিফলে যায় শ্রম
বুকের খামে কষ্ট রাখি চেপে।
এক বিকেলে, আকাশ ছিল বুকে,
তেপান্তরে উড়তো মেঘের নাও,
রংধনু রঙ জাগতো সুবাস শুঁকে
ইচ্ছেডানায় হাসতো সবুজ গাঁও।
‘উদাস রাতে একটি শালিক কবি
একটি শালিক শিকল বাঁধা পা-য়’,
—রুপোর ফ্রেমে যুগলবন্দি ছবি
ঝুল ও ধূলায় দুলছে দেয়ালটায়।
ছন্দ-দোদুল মন্দ বাতাস হাসে
উপচেপড়া চাঁদের বারান্দায়
মাঝ নদীতে মেঘের ভেলা ভাসে
রাত্রি নামে একলা চেয়ারটায়।
ও মেয়ে তুমি জ্বালাও প্রতিরাতে
এমনিভাবে ঘুম নিয়ে যাও কেড়ে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৬ অক্টোবর ২০২৫ /এমএম





