প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রশ্ন তুলে বলেছেন যে, গত ১৫ বছরের এতো সাংবাদিক নিগ্রহ ও মিডিয়ার কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে কারা কারা সোচ্চার হয়েছিলেন?শুক্রবার দুপুরে তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন প্রশ্ন তোলেন মারুফ কামাল খান।পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন—চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দৈনিক আমার দেশ। আমি নিজে যত রকমের হেনস্তার শিকার হয়েছি, অনেক মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়েছি, সে-সব কথা নাই বা বললাম। ১৫ বছরের এতো সাংবাদিক নিগ্রহ ও মিডিয়ার কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে কারা কারা সোচ্চার হয়েছিলেন?
মারুফ কামাল লেখেন—হাসিনা রেজিমকে ম্যাস মার্ডারে উস্কানি দেওয়া এবং বিপুল ভাবে অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া কিছু সাংবাদিক নামধারীর মানবাধিকার রক্ষায় এখন যারা মারাত্মক সোচ্চার তারা কি সেদিন টুঁ-শব্দটিও করেছিলেন? নাকি সোল্লাসে হাসিনাকে এসব নিবর্তনে মদদ যুগিয়ে গেছে? জবাব চাই।খালেদা জিয়ার সাবেক এই প্রেস সচিব তার পোস্টে উল্লেখ করেন— হত্যা পরিকল্পনার মিথ্যা মামলায় শফিক রেহমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে দিয়েছিল হাসিনা রেজিম। মাহমুদুর রহমানকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করেছে। আবুল আসাদকে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা অফিসে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে হেনস্তা করে পুলিশে দিয়েছে। তারপর তাকে জেল খাটতে হয়েছে। রুহুল আমীন গাজীকে হাতে দড়ি বেঁধে জেলে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনির পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্তই করা হয়নি।
তিনি আরও লেখেন—ফটো সাংবাদিক কাজলকে দীর্ঘদিন গুম করে রাখা হয়েছে। দৈনিক ইনকিলাবের রবিউল্লাহ রবি, রফিক মোহাম্মদ, আহমেদ আতিক ও আফজাল বারীকে গ্রেফতার এবং পত্রিকার অফিস ও প্রেস সিলগালা করে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়।একুশে টিভির মালিককে ও সাংবাদিক কনক সরোয়ারকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। খুলনার সাংবাদিক মুনীর উদ্দীন আহমেদ এবং কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে সীমাহীন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে।বিশাল তালিকার এ এক ভগ্নাংশ মাত্র।প্রসঙ্গত, ফ্যাসিবাদে সমর্থন দেওয়া কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার ও কারাগারে তাদের অসুস্থ হয়ে যাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ আলোচনা উস্কে দিচ্ছেন। এ নিয়ে কেউ লেখালেখিও করছেন।
