প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: রমজান মাস পবিত্রতা ও সংযমের মাস। বারো মাসের মধ্যে রোজার একটি মাসে নিয়মিত জীবনযাপনে হঠাৎ করেই আসে পরিবর্তন। রোজায় আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আসে। ইফতারে রাখা হয় হরেক রকমের খাবার যার মধ্যে অন্যতম ছোলা।ইফতারে ছোলা থাকবে না এমনটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দুষ্কর। প্রতিদিনই ইফতারে ছোলা দেখা যায়। তবে কীভাবে ছোলা খাওয়া উচিত তা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ছোলার মধ্যে উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফাইবারযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে, ফলে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পায় না। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
ছোলা সারারাত বা অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো ছোলা নরম হলে সহজে হজম হয়। খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন। এভাবে ছোলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ভেজানো কাঁচা ছোলার সঙ্গে সামান্য লবণ, কাঁচা মরিচ, লেবুর রস বা শসা মিশিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাদ বাড়ায় এবং পুষ্টি গ্রহণ সহজ করে।
সেদ্ধ ছোলা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
ছোলা ধুয়ে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করার সময় সামান্য লবণ ও হলুদ মেশালে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। সিদ্ধ ছোলার সঙ্গে পেঁয়াজ, টমেটো, শসা, ধনেপাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে স্যালাড তৈরি করতে পারেন। এটি দুপুরের খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
কাঁচা বনাম সিদ্ধ ছোলা
পুষ্টিবিদদের মতে, ছোলা কাঁচা এবং সেদ্ধ দুভাবেই খাওয়া যায়। আর যেভাবেই ছোলা খাওয়া হোক সেটা দারুণ উপকারী। তাই রোজা থাকলে ইফতারে আপনি কাঁচা কিংবা সেদ্ধ দুইভাবেই ছোলা খেতে পারবেন।
কাঁচা ছোলায় ফাইবার ও প্রোটিন বেশি থাকে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে সেদ্ধ ছোলা সহজে হজম হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমায়। ছোলায় উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা মাংসপেশি গঠনে সহায়ক। ফাইবার থাকার কারণে হজমের সমস্যা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। কাঁচা ছোলা খেয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা হলে সিদ্ধ ছোলা খান। অতিরিক্ত লবণ বা মশলা মেশানো থেকে বিরত থাকুন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১২ মার্চ ২০২৫ /এমএম