ভোগ্যপণ্যে আর লোভ নেই,
যা মেলে খুচরো পয়সায়
অথবা জোটে অল্প কায়িক শ্রমে;
তাতে আর বিন্দুমাত্র লোভ নেই!
আজকাল আমার ক্ষুধা নেই,
মৌনতার মাত্ত্রাতিরিক্ত রোগ
খেয়ে নিয়েছে যৌনতার অনুষঙ্গ;
বৈপরীত্যে আকর্ষণের আগমন ধ্বনি নেই!
বিলম্বিত প্রদেয় পরিশোধের কারণে
হারিয়েছি ভরসাস্থল, তাই-
বর্ধিত বিল দিয়ে জীইয়ে রাখা শুধু মানবদেহ;
দেখলাম- একটি দেহ সুরক্ষার কোনো সুজন নেই!
তাই ভোগ্যপণ্যে আমার আর লোভ নেই,
এখন কবিতা দিয়ে শুধু হৃদয় ছুঁয়ে দেই;
রমনীর অনামিকায় ঠোঁটের সন্নিবেশ না হোক-
তবু শুধু ধোঁয়ার মতো হোক ছোঁয়াছুঁয়ি নাকে-মুখে!
ভোগ্যপণ্যের ভারে
পৃথিবীতে বাড়ে শুধুই বৈষয়িক ওজন,
হয়তো সে কাছে আসে,
গা ঘেঁষে না বসে-বসে অন্য কোথাও যেয়ে!
ভোগ্য পণ্যে আর রুচি নেই,
উপোষ মন-
বেশ্যার খদ্দের খোঁজার মতো খোঁজে-
নিরামিষ অথবা দেহ অবিনাশী পণ্য!
বাজারে ভাড়া করি মাঠকর্মী-খুঁজতে নিষ্কাম প্রেম;
ওরা পেলে হন্তদন্ত হয়ে আমায় দেয় ফোন,
জানায় ওদের বিশেষ আয়োজন
আমি সাগ্রহে ফোন ধরি কানের কাছে
শ্রবণেন্দ্রিয় শুনে হাসে, বলে-এসব আর কি প্রয়োজন?
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ /এমএম