প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাজকীয় আমন্ত্রণে সপরিবারে ওমরা পালন করেছিলেন মা-ছেলে।এরপর কেটে গেছে আট বছর। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হয়নি মা খালেদা জিয়ার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগও পাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। ফলে এই আট বছরে দেশের বাইরে কোথাও তার যাওয়া হয়নি।অবশেষে বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে দ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টে ওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে তীব্র শীত পড়ার আগেই তাকে সেখানে নিতে চান চিকিৎসকরা।এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাডাম গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছেন। বলতে পারেন তার অবস্থা স্থিতিশীল।’
গত ৫ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরের দিন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তাই দেশে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসা চলছিল।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৯ অক্টোবর ২০২৪ /এমএম