Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরাকে অলিখিতভাবে ‘নিষিদ্ধ’ করেছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে সংগীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়া হয়নি তাকে।সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ‘বৈষম্যের শিকার’ হওয়া এই শিল্পী নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পীকে এত বছর পারফর্ম করতে না দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমার জুনিয়ররা নিয়মিত বিটিভিতে গান করছেন, কিন্তু বিটিভি-বেতারের সব প্রোগ্রাম থেকে আমাকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে তা আমি জানি না। আমার ধারণা, যারা আমাকে ‘না’ করেছেন, তারাও জানেন না কেন আমাকে অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়নি।’

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বা বিরোধী মত পোষণ করেন এমন শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল থেকে একপ্রকার ব্রাত্যই করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার পরও কেন তার প্রতি এমন বঞ্চনা, জানেন না ফেরদৌস আরা, ‘আমাকে কেন নিষিদ্ধ করা হলো? একজন শিল্পীকে কেন শাস্তি দেওয়া হল? সম্মানের বদলে কেন অসম্মান করা হবে? কেউ আমাকে বলতে পারেনি কেন আমাকে প্রোগ্রাম দেওয়া হচ্ছে না। কারা বাদ দিয়েছে, কেন দিয়েছে। এসব কারণ আমাকে জানানো হয়নি।’

বিটিভির এমন অলিখিত নিষেধাজ্ঞার ফলে মারাত্মক সামাজিক ও মানসিক পীড়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে, ‘প্রোগ্রামের দিন জানতে পারি আমার গান বাতিল হয়েছে। সে সময় পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে অসম্মানিত হয়েছি। ফোন দিয়ে মানুষ জিজ্ঞেস করত আপা, আপনার প্রোগ্রাম নেই? আমার ফোবিয়া হয়ে গিয়েছিল’-যোগ করেন ফেরদৌস আরা।দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিটিভিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন এই নজরুল সংগীতশিল্পী। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিটিভিতে গাইতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। এটা একসময় আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান ছিল। কারণ শিল্পী তৈরিতে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বর্ণনাতীত।’

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১১ অক্টোবর ২০২৪ /এমএম