Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস  :: কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্নের শুরু হলো মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে। কানাডার স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি’র সাউথইস্টের নিজস্ব মন্দির ভবনে উৎসব মুখর পরিবেশে মহালয়া উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকে।

শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা।মহালয়ার পর আগামী ১২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ১৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।

উল্লেখ্য বরাবরের মত এ বছর ও কানাডার ক্যালগেরিতে “ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ”, “আমরা সবাই” ও “বাংলাদেশ পূজা পরিষদ” পৃথক পৃথকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করবেন।সকল ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে কেলগেরী বঙ্গীয় পরিষদ এবারের দুর্গাপূজার আয়োজন করছে “ হাইউড সেন্টার” হাই রিভারে।

পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্যদিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা। চন্ডিতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি। দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।

মহালয়ার আরও একটি দিক হচ্ছে, এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকেই বলা হয় মহালয়া।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ অক্টোবর ২০২৪ /এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ