শিহরিত বাস্তবে
গগন আচ্ছাদিত মুক্তির অমোঘ সত্যতায়
গচ্ছিত শক্তিরা অনিবার্য উজ্জ্বলের প্রত্যাশায়
গঞ্জনা সয়ে জননীর আকাঙ্ক্ষা
গ্রীষ্মের তাবদাহ যেন প্রতিরোধের উচ্চারণ।
গ্রাহ্য করে না তারা নিঃসঙ্গ অশ্রুপাত
গ্রন্থিল রণধ্বনিতে লক্ষ-কোটি উত্তেজনা
গাম্ভীর্যতায় দস্যুপুরী কূট-মন্ত্রণার সাথী
গোলাপের লাল পাঁপড়ির মতো এঁকে দেয় অক্ষর।
গোধূলি লগ্নে নির্লজ্জের মতোন উৎকণ্ঠিত মন
গৌরবের আয়ু যেন জর্জরিত যন্ত্রণা
গোগ্রাসে ভেঙে সব চুরমার মরুভূমি
গোলার্ধের নক্ষত্ররাও শিহরিত বাস্তবে।
পণ
পণ করেছিলাম
অবাধ্য মনের মত্ততায়
আমি আর লিখব না কবিতা!
নেশা গেল টুটে
জেগে দেখি
আর সে আমি নেই,
লুপ্ত আমার সহনীয়া মাটি
জঙ্গলে আর জঞ্জালে।
দিক-দিগন্তে বনানীপ্রান্তরে
ভূপাতিত প্রিয় পারমিতা।
নেকড়ার আগুনের মতোই
ধুমিয়ে ধুমিয়ে জ্বলে
দুখিনী মাতার বুক
হোক শান্ত বন্দুক কামান যত
নৈঃশব্দের নিস্তব্ধ সাগরে।
মানুষ হয়ে বাঁচো
শুধু অন্ন-বস্ত্রের আশায় মানুষ তুমি অমানুষ হলে
শুধু মিথ্যা স্বপ্নের তাড়নায় তুমি তোমারই হয়েছো কাল।
যার আড়ালে তুমি সাদা থেকে কালো হলে,
কর্দমাক্ত ভালোবাসায় ভুলে গেলে নিজের ভালো,
আশাহত হয়ে সে ভাষা সব তার শিশুতোষ!
তাতে কিছু আসে না- তার মন সংকল্পিত।
মানুষ হবে বলে সে রাহুমুক্ত ভূমিতে
উদ্ধত পদাতিক গোধূলির বহ্নি জ্বালে।
বড়লোক হতে গিয়ে হারায় সে পথের বাতি
বর্ষারাতে এনেছিল যখন সত্য লোহিতকণিকা
অবহেলায় মত্ত তখন অনিয়ম যত অশৃঙ্খল
আমিতো চাইনি সে বিপ্লব- শ্রাবণের বিপ্লব!
মানুষ হয়ে তুমি সাক্ষী হলে গৌরবের শিলাস্তূপে
অসহায় মানুষ, ক্ষুধার্ত-ভয়ার্ত হয়ে চিরনির্বাসিত।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ /এমএম