Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসক শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে মাঠে নেমেছিলেন টালিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। চেয়েছিলেন মেয়েদের নিরাপত্তার অধিকার। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই মিমিকেই সামাজিকমাধ্যমে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দেন রাশিদুল নামে এক নেটিজেন। এবার মিমির হয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদে মাঠে নামলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যায়, আরজি করকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠে নামেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মেয়েদের নিরাপত্তার অধিকার চাওয়া সেই মিমিকেই সামাজিকমাধ্যমে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দিলেন এক নেটিজেন। কারণ গত ১৬ আগস্ট নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে ১০ লাখ আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে সামাজিকমাধ্যমে তৃণমূলের সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী মিমিকে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দিলেন রাশিদুল নামে এক নেটিজেন, যা নিয়ে ইতোমধ্যে অভিনেত্রী ও তৃণমূল সংসদ সদস্য প্রতিবাদ করেছেন। এবার মিমির হয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদে মাঠে নামলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

পালটা হুমকি দিলেন টালিউড নির্মাতা। তিনি বলেন, সত্যি কি নারীরা নিরাপদ আমাদের সমাজে? প্রকাশ্যে সামাজিকমাধ্যমে এমন কথা বলা হলো তাকে। নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখলেন, ‘সেলেবদের ঘৃণা করুন, কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন। তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে।

এর আগে মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। শুধু তাই নয়, সামাজিকমাধ্যমেও ক্রমাগত গলার স্বর জোরালো করেছেন। তাও এহেন আক্রমণ সত্যিই কাম্য নয়। রাশিদুল নামের সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে— ‘মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এ ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত, তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।’

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লেখেন, ‘আর আমরা একজন নারীর জন্যই ন্যায়বিচার চাইছি, তাই না? তারা অনেকের মধ্যে কয়েকজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে— এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে, তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন— এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?’ প্রসঙ্গত, অভয়ার পরিবার অর্থাৎ তার মা-বাবাকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা ফিরিয়ে দেন নির্যাতিতার পরিবার।

আরজি করকাণ্ডে তরুণী ডাক্তারের বাবা সংবাদমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যদি আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য টাকা নিই, তাহলে এটা তাকে কষ্ট দেবে। আমাদের ন্যায়বিচার চাই। সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েকে বড়ো করেছি, সেলাই করেই খাব, মেয়েকে হারিয়ে লাখো সন্তানের বাবা হয়েছি, তাই মেয়েকে বিক্রি করে টাকা নেব না।’

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২১ আগস্ট ২০২৪ /এমএম