Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  গণমাধ্যমকর্মী, নারী ও মানবাধিকারকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েস।শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।সরকারি উদ্যোগে নজরদারিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ভয়েসের উপ-পরিচালক মুশাররাত মাহেরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভয়েসের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনলাইনে কী ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা উচিত, সেই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই।ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনে তথ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তামূলক বিষয়াদি সম্পর্কেও ব্যবহারকারীরা অবগত নন। ফলে তারা হ্যাকার কর্তৃক বিভিন্ন স্প্যাম ও ম্যালওয়্যারের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য হারিয়ে ফেলেন এবং এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পান না।

ব্যবসায়িক বা চিকিৎসাক্ষেত্রে সেবা নিতে গেলে প্রতিনিয়ত সবাইকে নিজস্ব বা পারিবারিক তথ্য দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ভোক্তাদের তথ্যগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করে দিচ্ছে।তথ্য প্রদানকারীর অনুমতি ছাড়াই তার তথ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা এক ধরনের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গোপন ক্যামেরা এবং পেনড্রাইভ বসিয়ে বিভিন্ন গ্রাহক বা কার্ড ব্যবহারকারীর তথ্য ও পিন নম্বর হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

সরকারি পোর্টালগুলো সর্বতোভাবে সুরক্ষিত নয় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে জাতীয় পরিচয়পত্র পোর্টাল থেকে প্রায় পাঁচ কোটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য টেলিগ্রাম নামক একটি মেসেজ অ্যাপ্লিকেশনে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ইদানিং সরকারি আমলা, তারকা, খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মী কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের বিভিন্ন ফোনালাপ, অন্তরঙ্গ ছবি, ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হচ্ছে। বিশেষ করে, নির্বাচন প্রাক্কালে রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিব্রতকর অডিও বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০১ জানুয়ারি ২০২৪ /এমএম


এই বিভাগের আরও সংবাদ