Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌   আয়রন শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। মাতৃ-জরায়ুতে শিশুর বিকাশ এবং জন্মগ্রহনের পর প্রথম দুই বছর শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে এ উপাদানটি জরুরি। আয়রন স্বল্পতা থাকলে শিশু মেধাশক্তি সামর্থ্য হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে মায়ের পুষ্টিমান মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। নবজাতক পূর্ণ গর্ভকালের আগে ভূমিষ্ঠ হলে তাকে খাদ্যের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করতে হয়। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

শিশুর দৈনিক আয়রনের চাহিদা

পূর্ণ গর্ভকাল পাওয়া নবজাতকের প্রতি কেজি ওজনের অনুপাতে ১ মিলিগ্রাম আয়রন নিশ্চিত করতে হবে।প্রিম্যাচিউর নবজাতকের প্রতি কেজি ওজনের অনুপাতে ২-৩ মিলিগ্রাম প্রয়োজন।
১ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুর কেজির অনুপাতে ৭ মিলিগ্রাম আয়রন দরকার।৪ থেকে ৮ বছর বয়সে ১০ মিলিগ্রাম।৯ থেকে ১৩ হলে ৮ মিলিগ্রাম।১৪ থেকে ১৮ বয়সে ছেলেদের ১১ মিলিগ্রাম এবং মেয়েদের ১৫ মিলিগ্রাম জরুরি।

শিশুর আয়রন স্বল্পতা দূর করতে করণীয়

অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।দেরি করে নাড়ি কাটা বা বাধার মাধ্যমে নবজাতকের শরীরে আয়রনের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।প্রয়োজন বুঝে পূর্ণ গর্ভকাল পাওয়া নবজাতকের বয়স ৪ মাস পেরোলে তাকে আয়রন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।শিশুর পরিপূরক খাবার যেন আয়রন সমৃদ্ধ হয় সে দিকে নজর রাখতেই হবে।চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৭ মার্চ ২০২৩ /এমএম