প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ‘মাঘের শীত, বাঘের গায়, পৌষের শীত মইষের গায়’। প্রচলিত এই গ্রামীণ প্রবচনে বোঝানো হচ্ছে—মাঘের শীতে বাঘ আর পৌষের শীতে মহিষ পর্যন্ত কাঁপে! এবার শীত ঋতুর আরম্ভিক মাস পৌষের শেষ প্রান্তে এসে কাঁপছে দেশের মোটামুটি অঞ্চল।গত কদিন ধরে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহে কাবু জনজীবন। বিশেষ করে রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চল মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার জন্য দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্বের জনপদ টেকনাফে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। আর সর্বনিম্ন পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সারাদেশেই কমবেশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও দুদিন এমন থাকতে পারে।’
এরপর কিছু দিনের জন্য তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০ জানুয়ারির পরে নতুন আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।’আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২৯টি জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এসব জেলায় বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত তীব্র শীত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ /এমএম





