হাসান মাহমুদ :: বন্ধুদের ভালো কাজ ভালো লাগে Anamul Haque Himel ইউ মেক আস প্রাউড। চিনে রাখুন এই মানুষরুপী জানোয়ারকে।এই পিশাচ হচ্ছে অগ্রদূত বাসের কন্ডাক্টর। এর বদভ্যাসই হচ্ছে বাসে মেয়েদের শরীরে স্পর্শ করে হেনস্থা করা । অগ্রদূত বাসের রুট বাইপাইল-বাড্ডা। বাস নম্বর ঢাকা মেট্রো ব ১১-৭৯২২।
এবার ঘটনায় আসি।গত বৃহস্পতিবার সকালে ৯টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি।এমন অবস্থায় এক বান্ধবীর (সংগত কারণেই পরিচয় বলছি না) কান্নারত অবস্থায় কল এলো। রীতিমত আবাক হয়ে যাচ্ছি যে অপাশ থেকে শুধু কান্নার শব্দই পাচ্ছি।কিছুক্ষণ পর আমার বান্ধবীটি জানালো যে অগ্রদূত বাসে পাশের সিটে বসা প্যাসেঞ্জার এবং বাসের কন্ডাক্টর হেনস্থা করছে আর শরীরে স্পর্শ করছে।যা স্বাভাবিকভাবেই ওর মানসিক অবস্থা দুর্বল করে দিয়েছে।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর ওকে জানালাম লাইনে থাকার জন্য এবং আমার সাথে কথা চালিয়ে যাবার জন্য।আমি নিজেকে মানসিকভাবে খানিকটা গুছিয়ে ঢাকা সিটির সার্জেন্ট হিমেল (Anamul Haque Himel) ভাইয়াকে কল দিয়ে বিষয়টি অবগত করলাম।ভাইয়া পরামর্শ দিলেন বাস থেকে নামার পর বাসের নম্বরটি যেন উনাকে জানাই। আমি আমার বান্ধবীকে তা জানিয়ে দিলাম যেন বাস নম্বরটি খেয়াল করে।ও বাস থেকে নেমে বাসের পেছনে লেখা নম্বর প্লেটের নম্বর আমাকে জানিয়ে দিলো।আমি সেটা সার্জেন্ট হিমেল ভাইয়াকে জানিয়ে দিলাম। হিমেল ভাইয়া জানালেন উনি যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।আমি বান্ধবীকে কিছুটা সাহস যুগিয়ে বললাম যে কাজে যাচ্ছে সেখানে ঠিকঠাকভাবে যেন পৌছায়।
বিকেলে হিমেল ভাইয়া কল দিয়ে বললেন যে বাসটি আটকে রাখা হয়েছে।আমি চলে গেলাম সেখানে কিন্তু সেই কন্ডাক্টর পালিয়েছে।ঘন্টাখানেক পর সেই কন্ডাক্টরকে সেই গাবতলীর ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসা হলো।আমিও বান্ধবীকে কল দিয়ে আসতে বললাম যেন লোকটাকে এসে নিশ্চিত করে। নিশ্চিত করা হলো যে এই সেই কন্ডাক্টর।
জেরার তোপে সে স্বীকার করলো যে সে এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে।এরপর সার্জেন্ট হিমেল ভাইয়া সেই কন্ডাক্টরের যথাযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন। তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও হিমেল ভাইয়ার এই অসামান্য উপকারটি করে দেয়ার জন্য আজীবন কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধা রইবে। সার্জেন্ট হিমেল ভাইয়া জানিয়েছেন এমন ধরনের বা যেকোনো ধরনের সমস্যার সহায়তার জন্য 999-এ কল দিয়ে সমস্যার কথা শেয়ার করার জন্য।এতে দ্রুততম সময়ে সমাধান পাওয়া যায়।
আমার ব্যক্তিগত একটি পরামর্শ থাকবে। কোন মেয়ে যদি এমন অবস্থায় পড়েন তবে অনুগ্রহ করে কোন সংকোচবোধ না করে একটু উঁচু স্বরে প্রতিবাদ জানাবেন বা পাশের কোন মানুষকে জানাবেন বিষয়টি। পাবলিক বাসে এতোগুলো মানুষের মাঝে একজন ভালো মানুষ পাবেন যিনি আপনার পাশে থাকবেন।
সবাই নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন…।
কৃতজ্ঞতায় : ফাহিম মুনতাসির মাসুম
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা / ০৫ আগস্ট ২০১৯/ এমএম