প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: কঠোর বিধিনিষেধ তুলে দেয়া নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির উদ্বেগের একদিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এখন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি, টিকা আর মাস্কেই ভরসা করতে হবে।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার মধ্যেই ১১আগস্ট থেকে শিথিল করা হয়েছে দেশব্যাপী চলা কঠোর বিধিনিষেধ। শুক্রবার রাতে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে লকডাউন অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
ওই বিজ্ঞপ্তির এক দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’
দেশে টিকার কোনো সংকট হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবী এখন করোনায় আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চীন থেকে ৭ কোটি টিকা নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাব। আরও অন্য জায়গা থেকে টিকা আসছে। এসব টিকা আসতে থাকলে টিকার কার্যক্রম বেগবান হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশে টিকা কার্যক্রম বেগবান করা হচ্ছে। আপনারা মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে খুলে দেওয়া হলেও মনে রাখতে হবে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন করোনার দুর্যোগে আছি। পুরো পৃথিবী এই দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। ৪০ লক্ষাধিক মানুষ মারা গিয়েছে। আমাদের দেশে অন্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে আছে।
করোনার সময়ে অনেক দেশে দারিদ্র্যসীমা বাড়লেও আমাদের অনেক নিচে নেমেছে। আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষায় দেশ এগিয়ে গেছে। ১০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দেশে। আমাদের কোটি লোক বিদেশে কাজ করেন। তারা রেমিট্যান্স পাঠায়।
সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। আর এ লক্ষ্যেই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসাসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৪ আগস্ট ২০২১ /এমএম





