Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: সুস্থ থাকতে চাইলে খাবারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে সকলেই প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা কখনই এমন ডায়েটের কথা বলেন না। দীর্ঘদিন ধরে যদি ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ থাকে তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

এই আশঙ্কা থেকে অনেকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন আলু। আবার অনেকে ভাবেন আলুর থেকেও ক্ষতিকর মিষ্টি আলু। আর তাই ভুল করেও ছুঁড়ে দেখেন না। কিন্তু মিষ্টি আলুরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। হার্ট থেকে ডায়াবেটিস-স্বাস্থ্য সমস্যায় অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে মিষ্টি আলু।

যেকোনো আলুই পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। মিষ্টি আলু খুবই স্বাস্থ্যকর। মিষ্টি আলুতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ’ থাকে। ‘ভিটামিন এ’ আদতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টি আলু।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হাই কোলেস্টেরল।

মিষ্টি আলু খনিজ পদার্থে ভরপুর। এছাড়াও সারাদিনে একটি মিষ্টি আলু খেলেও দৈনিক চাহিদার অনেকখানি পূরণ হয়। যারা প্রতিদিন বাড়ির বাইরে যান, যারা অ্যাথলেটিক তাদের ডায়েটে মিষ্টি আলু রাখতে বলা হয়। এমনকি মিষ্টি আলুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর টক্সিন বের করে শরীরকে ভেতর থেকে ফ্রেশ রাখে।

কেনার সময় গাঢ় রঙের মিষ্টি আলু কিনুন। কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে, মিষ্টি আলুর রঙ (এটি কমলা, হলুদ অথবা পার্পল যে রঙেরই হোক না কেন) যত বেশি গাঢ় হবে, পুষ্টিগুণ তত বেশি হবে। খোসা ছাড়িয়ে না খেয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খোসাসহ সেদ্ধ করে খান। মিষ্টি আলু, সয়ামিল্ক আর দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/২৭ নভেম্বের ২০২০/এমএম