Menu

দুই তারকা মায়ের ভালোবাসার পৃথিবী

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: মেয়ে সায়রার সঙ্গে মা বাঁধন ও মেয়ে আয়রার সঙ্গে মা মিথিলামেয়ে সায়রার সঙ্গে মা বাঁধন ও মেয়ে আয়রার সঙ্গে মা মিথিলাটিভি পর্দায় আমরা যে মিথিলাকে দেখি, তিনি একজন চাকরিজীবী মা। উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করেন। সন্ধ্যার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সময় মেয়ের জন্য।

প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয় মিথিলাকে। কখনো আয়রা সঙ্গে থাকে, কখনো একা। ছয় বছরের আয়রাকে তখন থাকতে হয় নানা-নানির কাছে। মূলত ছুটির দিনগুলোতে শুটিং ও উপস্থাপনার কাজগুলো করেন তিনি। তবে সবকিছুর মাঝেই মেয়েকে নিয়ে তাঁর যত ভাবনা। মিথিলা বলেন, ‘আমার দুটি পেশা আছে। এর বাইরে আরও অনেক কিছু করি। কারণ আমার পৃথিবীটাই আমার মেয়ে। অভিনয়, উপস্থাপনা, চাকরি—সবকিছুর মাঝে মাথায় থাকে মেয়ের কথা। দেশের বাইরে যেতে হলে, তার কথা মাথায় রেখেই শিডিউল করি। এই যে এখন অফিসের কাজে বেঙ্গালুরুতে এসেছি, সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে এসেছি। সামনের মাসে আফ্রিকা যাব। তখনো সে সঙ্গে যাবে।’

মেয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো কেমন? মিথিলা বলেন, ‘আমাদের মা-মেয়ের একটা রুটিন আছে। একসঙ্গে ঘুরে বেড়াই, খাইদাই। বাসায় নানা কাজের ফাঁকে আমরা গল্প করি। যখন শুটিং করি, সব সময় তাকে সঙ্গে নিতে পারি না। শুটিংয়ে গেলে শুরুতেই সে মেকআপ করা শুরু করে। এটা সে খুব পছন্দ করে। মেকআপ আর্টিস্ট তাঁকে সবকিছু দিয়ে দেয়।’

পেছন ফিরে তাকান মিথিলা। বলেন, ‘নিজের ভেতরে প্রথম যখন সন্তানের অস্তিস্ত্ব টের পাই, তখন তার সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়। আমি তাকে গল্পের বই পড়ে শোনাতাম, গান শোনাতাম। একা একা গল্প করতাম। যখন সাত মাস হলো, তখন গান শোনালেই নড়াচড়া করত। প্রতিটা কথায় সে রেসপন্স করত।’

টেলিভিশনের আরেক অভিনয়শিল্পী আজমেরী বাঁধন। তাঁর সংগ্রাম শুরু হয় বিয়ের ঠিক পর থেকেই। বাঁধন বলেন, ‘আমি মা-ই হতে চেয়েছিলাম। বিয়ের দুই মাসের মাথায় কনসিভ করি। সন্তান পেটে আসার পর থেকেই আমার যুদ্ধ শুরু। আমার সন্তানও তাল মিলিয়েছে সেই যুদ্ধে। আমার সাবেক স্বামী অনেক কষ্ট দিয়েছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে সন্তানকে নিয়েই ভেবেছি। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি আমার সন্তান।’

বাঁধনের সন্তানের বয়স এখন সাড়ে সাত বছর। সে এখন মায়ের সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। বাঁধন বলেন, ‘মেয়ে আমাকে অনেক বোঝে। কিছুদিন আগে আমরা কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। একপর্যায়ে মেয়ে বলে উঠল, “তুমি তো সবার জন্য শপিং করছ, নিজের জন্য তো কিছুই কিনছ না? আমি যদি তোমাকে কোনো উপহার দিই, তুমি কি নেবে? ” সে বলল, “তুমি তো ঈদে আমাকে সালামি দেবে। সেটা নাহয় আগেই দিয়ে দাও। ” তারপর সে আমার কাছ থেকে সালামির টাকা আগাম নিয়ে শাড়ি ও মেকআপ কিনে দিল।’

যখন শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো বাঁধনকে। মাসের প্রায় ২০ দিন শুটিংয়ে সময় পার করতেন তিনি। দিনে হয়তো একবারই দেখা হতো দুজনের। সকালে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যেতেন, রাতে বাড়ি ফিরে দেখতেন, মেয়ে ঘুমাচ্ছে। নানা-নানির কাছেই থাকতে হতো তাঁকে।

 

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১২ মে ২০১৯/ এমএম