Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  ২০০১ সালে বলছিলে তোমার জন্য একটা কবিতা লিখে দিতে, কবিতাটির নাম দিয়েছিলে জীবন গল্পের তশতরি। সই হতে কবিতাটি আজও লিখে চলেছি, আরো বলে ছিলে কবিতাটি যেন কঠিন শব্দের না লিখে ছোট ছোট মায়াবী শব্দমালার হয়। এমন কবিতা পারবে তো লিখে দিতে?

তোমার কমলা কোয়া গ্রীবা, সুশ্রী চেহারা ছুঁয়ে বারবার আমি বলতাম এত আকর্ষণীয় করে আমিতো কবিতা লিখতে পারবোনা কিন্তু তুমি মানতেই চাইতে না। আর আমি ভাবুক নয়নে বুকের বীজতলায় ভালোবেসে তোমায় কবিতা করতাম চাষ। এভাবে ভালোই চলছিলো দুজনার প্রেমে জড়ানো হৃদয় আবেগের বহিঃপ্রকাশ।

কবিতার আবাদ লেখালেখির চাষাবাদ নিয়ে যে প্রেমের শুরু মাঝ পথে কবিতার চরণ থামিয়ে তুমি বলতে আমি তোমায় ভালোবাসি কথাটি কি লেখা যায় না কবিতার বুকে? আমি লিখতে নয় তোমার মুখে ভালোবাসি শব্দটা শুনতে পছন্দ করতাম তাই ইচ্ছে করে ভালবাসি শব্দটা না লিখে আবেগে ভর করে এড়িয়ে গাঙচিল হয়ে উড়ে যেতাম দূর অজানায়।

আমি কতটুকু ভালোবাসি তোমায় তা শুনতে চাইতে দেখতে চাইতে কবিতা নামক মনের রাজত্বে রাণী করে রাখা তোমায় বাস্তবে কোথায় কোন কাননে রেখেছি। প্রেমের পরীক্ষায় যাচাই বাছাই শেষে পাস মার্ক দিয়ে আচমকা একদিন চাইলে গুচ্ছ গোলাপ,আমি না দেয়াতে পরের দিন মুষ্টিবদ্ধ ফুলের তোড়া হাতে দাঁড়িয়ে,আমি দেখে অভিভ‚ত হলাম মুগ্ধ নয়নে, তোমার মিষ্টি নয়নাভিরাম জ্বালাতনে উৎসাহ পেতাম। ঠিক মাস দুয়েক পর প্রথম দিনে তুমি আমায় যে চারটি সাদা গোলাপ দিয়ে প্রেম নিবেদন করেছিলে সেগুলো ফেরত চাইলে।

কিন্তু সে সময় বুঝে উঠতে পারিনি ধরে নিয়েছি তোমার তা বালিকাসুলভ স্বভাব,মনের আবেদন নয়।আজ চেয়ে দেখো চারদিক চারটি গোলাপ নয়,সহস্র গোলাপও আমার ভালোলাগেনা, তোমার কুঁড়ি মিসড্ কলও আমার ঘুম ভাঙাতে পারেনা, তোমায় নিয়ে লেখা আমার শতাধিক অসমাপ্ত কবিতা তন্দ্রাচ্ছন্ন,একদিন তুমি চাইলে সাঁঝ শরৎতের আকাশ এনে দিতাম, তোমার পায়ে কাশফুলের ঘুঙুর পরাতাম, সেই তুমি কত সহজে একগুচ্ছ নয় বিছিন্ন চারটি গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা বিদায় করে দিলে অকারণে। ঠিক কি অপরাধে কোন অজুহাতে এমনটি করলে আজও তা ঘোর অমানিশা রহস্য ঘেরা হয়ে রইল।

তাইতো আজ হৃদয়ের মধ্যদুপুর খাঁ খাঁ রোদে পুড়ে চৌচির তবুও হাতে নিলাম তোমার প্রিয় কদম ফুল,এখনো শুধু তোমার চাওয়া পূর্ণ করার জন্য বৃষ্টিস্নাত ভোরে ভিজি কদমকুঁড়ি কুড়াই।

বৃষ্টির বিন্দুকণাগুলো ছিটিয়ে দিয়ে তোমার গা ভিজিয়ে দিতে ইচ্ছে করে? কিন্তু তুমিতো দূরে অন্যের অরণ্যে বসত গেড়েছো। জানো কবিতা বৃষ্টি বড় নির্দয় আমাকে রোজ ভেজায় দুচোখের কোন,এই তুমি এলো বলে নিমগ্ন বুকের বাম পাশে কদমগুচ্ছ নিয়ে বসে আকাশপানে চেয়ে থাকি।

যত স্মৃতি হাঁতড়ি তত রং বেরোয়,কত শত কথা যে মনে পড়ে এই যে তোমার কোমল পরশ আদরমাখা শাসন, মায়া লেপ্টানো চুড়িভাঙ্গা হাসি-সব ভেসে আসে চোখের বানে। অথচ বৃষ্টিবিহীন বর্ষাস্নাত কদম এখনো ফুটে-কারণ এ যে তোমার ভালোবাসায় সিক্ত অনুরাগ মিশ্রিত প্রিয় ফুল,আমি ভিজি তোমার জন্য বৃষ্টি আর ভালোবাসার কদম, কবিতার মায়াবী কথাদ্বয় যে তোমার ভীষণ প্রিয়।

তোমায় হারলেও আঁচ করতে পারি অনুভ‚তিগুলো লালন করে রেখেছি একান্ত আমার করে তাইতো আচ্ছাদিত আবেগ মনপাড়ার ছোঁয়া ফেলে হয় সজাগ, আবেগে ছুঁয়ে দিলে অসমাপ্ত কবিতা ছড়ায় সুঘ্রাণ,স্পর্শে সজীবতা পেয়ে কেঁদে কানায় কানায় পূর্ণ করে অন্তরের অন্দরমহল।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৫ অক্টোবর ২০২০/এমএম


Array