Menu

বায়াজিদ গালিব, ক্যালগেরি, কানাডা :: বাঙালি গালগপ্প করবে না তা কি হয়! মুখে মুখে কি সুন্দর গল্প বানিয়ে ফেলছে নিমেষেই। একেই বলে প্রতিভা। সাধারণত গ্রামে গঞ্জে চায়ের দোকানের আড্ডায় গাল গপ্প শোনা যায়। তবে যে কেউ ইচ্ছে করলেই গাল গপ্প করতে পারে না। এটা এক ধরণের প্রতিভা। কিছু লোক আছে গল্প শুরু করলেই আশেপাশে লোক জমে যায় তা শোনার জন্য। আবার কিছু কিছু লোক আছে গল্প শুরু করলে লোকজন অন্যমনস্ক হয়ে যায় কিংবা গল্প শোনার আগ্রহ প্রকাশ করে না।

আমাদের গ্রামের লোকজন চায়ের দোকানকে বলে চাস্টল বা টিস্টল। চায়ের দোকানে বেশ আড্ডা চলে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি একজন বালক। আমার খুব আগ্রহ ছিল চায়ের দোকানে তারা কি নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু ওই বয়সে চায়ের দোকানে চা পান ছিল অশোভন। আমাদের প্রিয় মতি মামাকে আবদার করলাম, মামা চা খাবো। উনি বললেন চা খাইবা তাইলে আমগো বাড়িত চলো। আমি বললাম না, চাস্টলে চা খাবো। উনি বেশ খুশি মনেই বাজারের চায়ের দোকানে নিয়ে গেলেন। আমার মনোযোগ ওদের আলোচনায়। বেশ কিছু লোক গল্পে মশগুল এবং বেশ হাসাহাসি চলছে।

দেখলাম এক মাঝ বয়সী লোক গল্পে আসর বেশ জমিয়ে ফেলেছে। তার আলোচনার বিষয় গো দুগ্ধ। সে বলছে, বুঝলেন না মানুষ কি পরিমানে টাউট। একবার পাশের গ্রামে আমার বন্ধুর বাসায় বেড়াইবার গেছি, দেহি, তার গরুর দুধের ব্যবসা বেশ জমায়া নিছে। তার গোয়াল ভর্তি গরু। দেখলাম আমার দোস্ত গাভীর দুধ পানায়া নালী গুড় আর পানি মিশাইতাছে। আমি কইলাম , তুই সাইনবোর্ড লাগাইছোস “খাঁটি গরুর দুধ’ আবার ব্যাজাল মিশাস যে? তার উত্তর হুইনা আমি তো তাজ্জব বইনা গেলাম। হে কয়, আরে দোস্ত আমি কোনো মিছা কতা কই নাই, একটুস খানি চালাকি করছি। আমি তো লেইহা থুইছি “খাঁটি গরুর দুধ”। আমার গরু তো খাটিই না কি কও ? দুধ ব্যাজাল কিনা হেইডা তো কই নাই।

আমি চলার পথে অনেক চায়ের দোকানে সাইন বোর্ড দেখেছি এখানে খাটো গরুর দুধের চা বিক্রয় হয়। আর জন গণ সে খাঁটি গরুর দুধের চা পান করছে আস্থার সাথে। এখন শিখলাম “খাঁটি গরুর দুধ”। গরু তো সবসময়ই খাঁটি। দুধ খাঁটি কি না সেটাই বিবেচ্য।
কলকাতায় যখন প্রথম বেড়াতে গেলাম, দেখলাম রাস্তার ধারে সারি সারি খাবারের দোকান। আমাদের নজরে এলো ফুচকা-চটপটির দোকান। এখানকার ফুচকা আকারে বড়। এতো বড় দেশ তার ফুচকা তো বড় হতেই পারে।

দোকানে গিয়ে বললাম, দাদা ফুচকা কত করে ?
ফুচকা! সে আবার কি?
ফুচকা দেখিয়ে বললাম, ঐগুলি।
বলছেন কি দাদা এগুলো তো গোলগাপ্পা! ফুচকা বলচেন কেন!
বললাম, তাই সই, আপনাদের গোলগাপ্পাই দিন।
গপ করে একেকটি রসালো গোলগাপ্পা মুখে পুরছি। আস্ত একটা ফুচকা মুখে পুরে নিয়ে কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে যায়, এর পর মুখে স্বাদের যে ঝড় ওঠে সেটার তুলনা কি অন্যকিছুর সঙ্গে হয়?
এমন সময় দোকানি বললো, দাদা আপনাদের জয় বাংলায় গোলগাপ্পাকে কি ফোস্কা বলে? আমি বললাম ফোস্কা না মশায় ফুচকা।
গালগপ্প আর গোলগাপ্পার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। ঢাকায় আমরা বলি ‘ফুচকা’ আর কলকাতায় বলে পানিপুরী অথবা গোলগাপ্পা। দুটোই দুই শহরের স্ট্রীট ফুড। গাল গপ্প এবং গোলগাপ্পা দুটোই সুস্বাদু। একটির স্বাদ মনে, আরেকটি জিহ্বায়। গোলগাপ্পার নামকরণ হয়েছে এক গাপ্পায়, মুখে পুরে আস্বাদন নেওয়ার কারণে। তেমনই হয়তো গাল ভরে রসালো গল্প বা গপ্প করে মানুষের মনে আনন্দ দেয়ার কারণে এ নাম হতে পারে। এ আমার নিজস্ব ধারণা থেকে বলেছি। একেবারেই মন গড়ানো গপ্প।
একটু অবাকই হলাম। আমি জানতাম দিল্লিতে ফুচকাকে গোলগাপ্পা বলে। বাঙালিরা তো ফুচকাই বলে। লোকটি কি আমাদের বোকা বানাচ্ছে ? পরীক্ষা করে দেখতেই হয়।

গোলগাপ্পা খেতে খেতে রসালো গালগপ্প শুরু করে দিলাম। বললাম, দাদা আন্ডা চেনেন তো?
কি বলছে দাদা সে তো ডিম। আন্ডা তো ঠিকই চিনলেন ফুচকাতে আপনার গায়ে ফোসকা পড়লো কেন দাদা? একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললো, সে যা হোক দাদা গল্পটা তো আগে বলুন। তবে শুনুন, একবার গ্রামাঞ্চল থেকে এক লোক ঢাকা শহরে বেড়াতে এসেছে, এক রেস্টুরেন্টে ঢুকেচে সকালের নাস্তা খাবার জন্য। এমন সময় দাদা বললনে, নাস্তা কি দাদা ? আমি বললাম নাস্তা হচ্ছে আপনাদের জলখাবার। ‘ ও তাই বলুন মশায়। আমি বললাম সে কথাই তো বলছি, আমার গল্পটা শুনুন তাহলে বুঝবেন। “আচ্চা বলুন সুনি”।

তো নাস্তার টেবিলে খাবার মেনু দেখে তার ‘মামলেট’ নামটা খুব পছন্দ হলো। ভাবলো বেশ মজার খাবার হবে হয়তো। যখন খাবার এলো দেখলো ডিম্ ভাজি। তখন সে বলল, শালার আন্ডা তুমি ঢাকায় আইসা মামলেট হইছো? আমাদের ক্ষেত্রেও তাই শালার ফুচকা কলকাতায় এসে গোলগাপ্পা হইছো। দোকানি হেসে কুটি কুটি, যা বলেছেন দাদা।

তার মানে আপনার বলতে চাচ্ছেন, কলকাতার তুলনায় ঢাকা একটি গ্রাম? আমি বললাম, শুনুন আপনার জ্ঞানে তাই, তবে একটু চিন্তা করে দেখেন, কলকাতা একটা প্রাদেশিক রাজধানী আর ঢাকা একটা দেশের রাজধানী। আমরা ভাবছি শহর থেকে ফুচকা মফস্বলে এসে গোলগাপ্পা হয়ে গেছে।
দূর মশায় আপনারা দেখচি, সবাই ভানু বন্দোপাধ্যায়।
তারপরও দোকানি খুশি ছিল কারণ, আমরা আট-দশ জন মিলে যা খেলাম তাতে নাকি দাদার সারাদিনের বেচা কেনার প্রায় সমান।
সম্প্রতি এক গবেষণায় ফুচকার ব্যাপারে মজাদার এক তথ্য উঠে এসেছে আর তা হলো- ফুচকার স্বাদ খুব দ্রুত মুখের টেস্ট বাড গুলোতে সঞ্চারিত হয় যার কারণে মন খারাপ থাকলে তা সহজেই ভাল হয়ে যায়। গোলগাপ্পা খেলে যেমন মন ভালো হয়, গালগপ্পও তেমনই ব্যাপার।
তবে গোলগাপ্পা বেশি খেলে পেটে আর জায়গা থাকে না। খাওয়ার তো একটা সীমা আছে। কিন্তু মনের ক্ষুধা নাকি কখনোই মিটে না। মনের খোরাকের কোনো সীমা নেই। তাই গোলগাপ্পা রেখে, গালগপ্পই করা যাক।

আমার লেখায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা এসে যায়। এর অন্যতম কারণ, এ আমার জাহাঙ্গীরনগর প্রীতি। অনেকটা প্রেমময় উচ্ছল জীবনের মত। এতো ভালোবাসি তাই বারবার এসে যায়। জাহাঙ্গীরনগরের ক্যান্টিনে সকালের নাস্তার জন্য টোকেন কিনতে হতো। টোকেন গুলো ছিলো এই ভাবে চায়ের জন্য লেখা থাকতো ‘চা’, আর পরাটার জন্য ‘পা’। কোন এক অজানা কারণে পরাটাকে সবাই শুদ্ধ ভাষায় বলতো ‘পারাটা’। হারমোনিয়ামকে যেমন সারমোনিয়াম বলে থাকেন অনেক শুদ্ধ ভাষী। যা হোক, একদিন সকালে নাস্তা খেতে বসেছি কয়েজন বন্ধু মিলে, আমাদের টেবিলে জিওগ্রাফীর এক বড় ভাই আমাদের সাথে যোগদান করলেন। চাপাবাজ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বেশ খ্যাত। উনি বসার সাথে সাথে আমার এক বন্ধু চায়ের টোকেন আর পরাটার টোকেন একসাথে করে আমাদের দেখাচ্ছিল। হঠাৎ ওই বড় ভাইয়ের নজর গেলো ‘চা’ ‘পা’ লেখা টোকেনের দিকে। আর যায় কোথায় উনি চেয়ার তুলে ওই বন্ধুটিকে তাড়া করলেন। বন্ধু এক দৌড়ে বাসে উঠে ঢাকায়। উনি তারপর দুইদিন ধরে তাকে খুঁজেছেন মারধোর করার জন্য। উনি জাহাঙ্গীরনগরের এথলেটিক, খেলাধুলায় অগ্রগণ্য। ওনার চাপা মারার ধারা ছিল এমন। উনি একবার ফুটবল খেলা শেষে পায়ে ব্যাথা অনুভব করলেন। হলে ফিরে বুট খুলে দেখেন তার মোজা রক্তে ভিজে গেছে। উনি নাকি শুধু মোজা চিপেই এক বালতি রক্ত বের করেছিলেন। বাকি আর কত রক্ত বের হয়েছে তা তার জানা নেই।

এবার আমি একটু গাল গপ্প করি। সে গল্প যদি ভুতের গল্প হয় তা হলে আরো শিহরণ জাগে। আমরা তখন আমাদের মেঝো খালার বাসায় সিরাজগঞ্জ থাকতাম। যেখানে থাকতাম, সেটা ছিল ইংরেজদের কুঠি। নাম চিটাগং কুঠি। আমি ভেবে পেতাম না সিরাজগঞ্জে অবস্থিত কুঠির নাম কেন চিটাগং কুঠি? সে চিটাগং কুঠিরেও নাকি ভুতের বসবাস ছিল। তবে সে ভুত ছিল ইংরেজ সাহেব। নানা গল্প শুনতাম। আমাদের আরেক খালাতো ভাই সে বাসায় কিছুদিন একাই বসবাস করেছিলেন। তিনি গভীর রাতে ইংরেজ ভুতের দেখা পেতেন। সেই ইংরেজ ভুত তাকে রাতে ধুম পান করাতেন এবং নানা গল্প করতেন। এখানেই আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, শুনেছি ভুতেরা আলো বা আগুন থাকলে ভয়ে চলে যায়, আর সে কি না আপনাকে সিগারেট পান করতে দিলো? উনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে ধমকের সূরে বললেন, ‘আরে ও তো বাঙালি ভুত না। তার সাহস ছিল। সে কেন আগুন দেখে ভয় পাবে’? যুক্তি অকাট্য। তাইতো ! ইংরেজ রা কেন ভয় পাবে? সাধারণ বাঙালিরা ভয় পাবে। ইংরেজদের ভয়ে বাঙালি আড়াইশো বছর তাদের গোলামী করেছে। বড় ভাইরা অবশ্য ছোট ভাইদের ধমক দেবার অধিকার আছে। বিশেষ করে তাঁরা যখন যুক্তিতে হেরে যান। তার এই অকাট্য যুক্তিতে আমার দেখা একটা ঘটনা মনে পরে গেলো। গ্রামের বাড়ি শীতের সকালে সবাই বসে রোদ পোহাচ্ছি। নাস্তার অপেক্ষায়। বাড়ির উঠানে একটা গরু বাধা ছিল। হঠাৎ একটা বাচ্চা ছেলে হামাগুড়ি দিয়ে গরুর দিকে আগাচ্ছিলো, গরুও তার দিকে শিং উঁচু করে আগাচ্ছে। সবাই উৎকণ্ঠায় চিৎকার করছে এই বুঝি বাচ্চাটাকে গুতা মারলো। কিন্তু মাঝ পথে হঠাৎ গরুটি থেমে গেলো। বাচ্চাটির মা দৌড়ে গিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলেন। তখন একটা লোক বলেছিলেন, আমি জানতাম গরুটি গুঁতো মারবে না। গরুর একটা বিবেচনা বোধ আছে না! আরেকটা অকাট্য যুক্তি ‘গরুর বিবেচনা বোধ’।

তবে কুফা বা বাধা-বিপত্তি যাই বলি না কেন, এই কুফা সবার লাগে না। জীবন শুরু করে তাদের আর পেছনের দিকে তাকাতে হয় না। আসলে কি কুফা বলতে কোনো কিছু আছে? মানুষ তার বুদ্ধির দ্বারাই নিজের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারে। এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। এর জন্য দরকার দূরদৃষ্টি। মানুষ যখন দূরদৃষ্টির অভাবে ভুল সিদ্দান্ত নেয়, তার কাজে সফল না হয়, তখন সব দোষ গিয়ে পরে দুর্ভাগ্যের উপর।
যা হোক, মোবারক সাহেবের ধারণা কুফা তার জীবনে স্থায়ী ভাবে আসন গেড়ে বসেছে। কোনো কাজই নাকি তার ঠিক মতো হয় না। সব কাজেই কুফা লাগে। সব ঘটনাই ছোট ছোট। যেমন তিনি চিটাগং যাবেন। তার হাতে সময় কম তাই রাতের ট্রেনে গিয়ে পরের দিন রাতের ট্রেনে ফিরে আসবেন। সে মোতাবেক কমলাপুর স্টেশনে গেলেন। যেয়ে শুনলেন ট্রেন দুই ঘন্টা লেট। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর ট্রেনে উঠলেন। রাত গভীর তাই কখন যে ঘুমিয়ে গেছেন বুঝতে পারেন নি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো। ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। কারণ জানতে পারলেন সামনে নাকি কে বা কারা ট্রেনের লাইন সরিয়ে ফেলেছে। মেরামতের পর ট্রেন ছাড়বে। সে মেরামত করতে রাত পার হয়ে ভোর হলো। তার টেনশন, সময় মতো পৌঁছাতে না পারলে অফিসে যে কাজ আছে তা আর হবে না। ঘটনাও তাই ঘটলো। তিনি পৌঁছালেন পরদিন প্রায় বিকালে। অফিস খোলা পেলেও সেদিনের মতো ওই কর্মকর্তা বাসায় চলে গিয়েছিলেন। যথারীতি কাজ আর হলো না। পকেটের পয়সা খরচ করে বিনা কারণে এক দিনের রেল ভ্রমণ। উনি বললেন, বুঝলেন এ হচ্ছে আমার কুফা, শুধু আমার ক্ষেত্রেই এমন হয়। আমি বললাম, আপনি একাই তো আর ভুক্তভোগী নন, ওই ট্রেনে তো আরো সহস্র যাত্রী ছিল তারাও তো ভুক্তভোগী। তাহলে কুফার দায় শুধু নিজের ঘাড়ে নিচ্ছেন কেন?

উনি বললেন, ‘না রে ভাই আরো অনেক ঘটনা আছে। অন্য একদিন বলবো’।
এ গল্প উনি কয়জনকে বলেছিলেন আমার জানা নেই। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ গল্প, গালগপ্প হয়ে, গল্পের স্রোত অন্যদিকে প্রবাহিত হয়ে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে গেলো। অফিসের সবাই বলছে, মোবারক সাহেবের ট্রেন যাত্রায় ডাকাত আক্রমণ করেছিল। অনেক হতাহত হয়েছে তিনি ডাকাতদের টাকা পয়সা দিয়ে কোনো মতে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছেন। এখন সবাই তার দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। এক পিয়ন তাকে জিজ্ঞেস করেই বসলো, ‘স্যার আফনেরে যহন ডাহাইত দরছিলো তহন আফনের ডর করে নাই’? ভদ্রলোক জবাব না দিয়ে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। হয়তো মনে মনে ভাবছিলেন, ‘কেন যে ট্রেনের ঘটনা সবাইকে বলতে গেছিলাম’।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/১ অক্টোবর ২০২০/এমএম


Array