প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: মহিমাময় কালিমা
জিলানী মাহ্জাবিন
একদিন আমাদের নবী গুণমনি
পথ মাঝে দাঁড়ালেন গুনগুন শুনি।
একদল মৌমাছি সরিষার ফুলে
দুলে দুলে ফুলরস তুলে।
অরুণ রাঙা ঠোঁটে কহিলেন নবী,
কণ্ঠে ঝরে তার স্নেহ সুরভী।
“সরিষার ফুলে আছে অতিশয় কষ,
কেমনে রচিবে তাতে মধু গো সরস?”
মধুকর কহে ফেলি নয়নের জল
“আপনার স্নেহ ভারে ধরা টলমল।
আপনার নামে মুখে কালিমা পাঠ করি,
কষ রস-ধারা হয়ে মুখ যায় ভরি।”
হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে যায়
রুদ্র সাহাদাৎ
ডুবে যায় উত্তর ডুবে যায় দক্ষিণ
ডুবে যায় বাড়িঘর ডুবে যায় দোকান।
হারিয়ে যায় নব দেখা স্বপ্নসমূহ
হারিয়ে যায় পৈতৃক ভিটেমাটি শেষ সম্বল শেষ ঠিকানা।
আষাঢ় শ্রাবণ এলেই
সাজনো গোছানো রঙিন সংসার ভেঙে যায়।
বুকের গহিনে ধপ ধপ ধ্বনি বাড়ে
হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে যায়।
মা মাছ কুড়াচ্ছে
এনাম রাজু
আকর্ষিক মাছবৃষ্টিতে উঠান ভরে গেছে
বাবা বারান্দায় পায়চারি করছে সঙ্গী আমি
এই প্রথম মায়ের ঠোঁট কাঁপছে সুখে, তিনি হাসছেন।
আব্বা রক্তলাল হয়ে বৃষ্টি দেখছে, আমিও দেখছি
সমস্ত উঠানে মাছের লাফালাফি কই রুই পুঁটি
আমাদের মাছের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তি আসে না
এই বৃষ্টিতে বাবা ও আমার স্নানের আনন্দও নেই
বৃষ্টি থামলেই বেড়াতে যাব বলে অপেক্ষা করেছি।
অথচ মা হাসছে, মুচকি মুচকি হাসছে
ইচ্ছেমতো মাছ কুড়াচ্ছে
মা ছাড়া কারো কখনো তরকারির অভাব হয় না বলেই…
জানি
লাবণ্য সায়মা রহমান
কিংবা ঘন নীল খুব ঘন নীল ঘাস ফড়িং হয়ে
তুমি উড়ে যাও গ্রীষ্মের দুপুরের গাঢ় সবুজ মাঠে।
বিজন প্রান্তরে তড়িৎ পদে চকিত চাহনী মেলে
তুমি ছুটে যাও বাদামি রঙের মায়া হরিণ হয়ে।
মাধবীলতায় লাফালাফি হয় বাতাসের দোলে
তুমি তখন বসো হলদে রঙের প্রজাপতি সেজে।
আমি দেখি শুধুই দেখি সে সুন্দর নয়ন ভরে
জানি সকল সুধা ছুঁতে নেই পেতে নেই কাছে।
স্বপ্নঘর
সবুজ আহমেদ
ঠিকানাহীন পাখির ঠোঁটে খড়কুটোয় বাসা বুনেছি
আহার, নিদ্রা রেখে ঠাঁই নিয়েছি তাল পাতার ফাঁকে
কিছু স্বপ্ন আর কিছু এলোমেলো আশা একাকার করে…
ঝড় আসলে কি হবে বাবুই পাখি জানে, তবু ঝুঁকি নিয়েছি রাতে
যদি ইচ্ছেদের করে রাখি গৃহবন্দি-উচ্ছেদ হবে সবল শক্তি;
সবুজ পাতারা গাঢ় রঙ আর পোয়াতি নদীর দেখা হবে না কোনদিন!
পূর্ণতা পেতে কতবার বাতাসের বিপরীতে ডানা মেলে
তুনেছি স্বপ্নঘর
চোখে তখন আদিমতার ঠিকানা ভাসে, পৃথিবীময় ডানা মেলে নির্দ্বিধায়;-
ফলবতীস্বপ্ন বাস্তবে ফসল প্রসব করে-ভিখারি হয়ে অন্যের নীড়ে নয়!
ছনের ছাউনি ঘেরা নিজের হাতে গড়া স্বপ্নচ‚ড়া ধূসর মরুভ‚মিতে হলেও সুখের।
খাবারে কম কার্বোহাইড্রেট
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের অভাব হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ঘামের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি
ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে মিষ্টি খাবারেও কিছু ভূমিকা রয়েছে। বেশি মিষ্টি খাবার দেহে ইস্ট উৎপন্ন করে। সাধারণত অ্যালকোহলের মধ্যে যে চিনি মেশানো হয় সেটা থেকে এই ইস্ট বেশি উৎপন্ন হয়; যা ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া খাবারে বেশি ঝালের ব্যবহার ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করার আরেকটি কারণ।
প্রস্রাব আটকে রাখলে
গবেষণায় বলা হয়, যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন তখন ঘামে উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো তখন প্রস্রাবের সাথে বের হতে না পেরে ঘামের সঙ্গে বের হয়। ফলে ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/১২ আগস্ট ২০২০/এমএম





