Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭১ জন। এক দিনে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৯৭৫ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।

মঙ্গলবার (৯ জুন) বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরসহ ৫৫টি প্রতিষ্ঠানে ১৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও তিন হাজার ১৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে দুইজন করে মারা গেছেন। বয়সের দিক থেকে ১১ বছ‌রের উ‌র্ধ্বে দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব আটজন মারা গেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭৭৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৩৩৬ জন সুস্থ হলেন।বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ। রোগীদের মধ্যে সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৫৫৭ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২১৬ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৫৩৫ জন। এ প‌র্যন্ত আই‌সো‌লেশনে আ‌ছেন সাত হাজার ৮৯৩ জন।

দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৬০২ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ছয় হাজার ২৭ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৩৮ জন।

দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিনে দিনে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ দুপুর পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ। এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের আঘাত আসে।

এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৪ লাখ ৮ হাজার ৬২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৪ জন। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫৮ জন।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৯ জুন ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ