Menu

বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক ::

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ পৃথিবী থেকে চলে গেছেন। এ চলে যাওয়া তার শারীরিক প্রস্থানই কেবল। ভক্ত ও সতীর্থদের হৃদয়ে তিনি আছেন উজ্জ্বল হয়েই। ধারাবাহিক এ আয়োজনে তাকে নিয়ে একে একে স্মৃতিচারণ করেছেন সতীর্থদের কয়েকজন

আমি শাহনাজ আপাকে প্রথম দেখি ৮৬/৮৭ সালের দিকে। সেই সময় আবাহনী ক্লাবের মঞ্জুর কাদের ভাইয়ের বাসায় আমি শাহনাজ আপাকে সরাসরি দেখি এবং গান শুনি। তখন ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে পড়তাম। সত্যি বলতে আপার গান শুনেই আমার বেড়ে ওঠা। তবে আমার আফসোস, আমি আপার সঙ্গে কোনো শো করতে পারিনি।

আপার সঙ্গে শো করতে না পারলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপার গান করেছি। গেল বছর স্বাধীনতা দিবসে বাংলাভিশনে আমি কিছু দেশের গান করি। সেখানে ছিল রুনা আপা ও শাহনাজ আপার গান। আপার কয়েকটি গানের কথা ও সুর ভালোমতো বোঝার জন্য আমি তাকে ফোন দেই। তখন তিনি আমার অনেক প্রশংসা করেন। আমার গান শুনেছেন বলেও জানান। এত বড় একজন শিল্পীর মুখে নিজের প্রশংসা শোনা অনেক আনন্দের বলে মনে করি। তারপর তিনি নিজেই আমাকে তার গানগুলো করার জন্য আগ্রহ দেখান।  এতে আরো বেশি অবাক হয়েছি। তখন আপা হঠাৎ করে ফোনে আমার কণ্ঠে তার ‘আরো কিছু দাওনা দুঃখ আমায়’ গানটি শুনতে চান। আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই। খালি গলায় ফোনে গান শুনাবো বিষয়টি কেমন যেন লাগছিল! যদি কোনো ভুল হয় তাহলে টিভি লাইভে হয়তো তার গান করতে নিষেধ করবেন এমন ভাবনা চলে আসলো। তবুও সাহস নিয়ে আমি ফোনে আপাকে গানটি শুনাই। আপা আমার কণ্ঠে গানটি শুনে ভীষন খুশি হয়েছিলেন। এখন আপা আমাদের মাঝে নেই। আমার একটা প্রশ্ন, আমরা কি পেরেছি তাকে সঠিক মর্যাদা দিতে? বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, একইসঙ্গে থাকবে আপার কণ্ঠের মাধুর্যতা। আপার কণ্ঠের এই কালজয়ী সব গান। সবশেষে বলবো, আল্লাহ আপাকে জান্নাতবাসী করুন।