বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবডিভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজে ছিলেন গবেষকরা। তারা এমন একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে চেয়েছেন, যা দিয়ে ভাইরাসজানিত রোগের চিকিৎসা সহজে করা যায়।এত বছর পর এ ধরনের ভাইরাসের চিকিৎসায় সুসংবাদ দিলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের একটি দল লামার (এক ধরনের প্রাণী) রক্তে থাকা অতিক্ষুদ্র অ্যান্টিবডিকে ব্যাকটেরিয়াল সুপার গ্লুর সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।সংযুক্ত অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইঁদুর দুটি ভয়ানক ভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং অন্য জীবাণুও প্রতিহত করতে পারে।
সায়েন্সম্যাগে সম্প্রতি প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে জীবাণু প্রতিরোধে অনেকগুলো কঠিন ধাপকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে।এ বিষয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটিন প্রকৌশলী জেনিফার মেনার্ড বলেন, সাধারণ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞানীরা একটি ইঁদুরের ওপর এই জুড়ে দেয়া অ্যান্টিবডিগুলো প্রয়োগ করেন। ওই ইঁদুরকে আগেই ওই দুই ভাইরাসের একটি এমন মাত্রায় দেয়া হয়েছিল, যাতে তার মৃত্যু ছিল অবশ্যম্ভাবী।এতে দেখা যায়, অ্যান্টিবডি দেয়া হয়নি এমন রিফট ভ্যালি ফিভার ভাইরাসে সংক্রমিত সব ইঁদুর তিন দিনের মধ্যে মারা গেছে। কিন্তু যেগুলোকে অ্যান্টিবডি দেয়া হয়েছিল, সেগুলো ১০ দিন পরও জীবিত ছিল। আর অন্য ভাইরাসটির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজ করেছে।তবে মানুষের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগের আগে আরও বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৫ মে ২০২০/এমএম





