Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক ::
আলী ইমাম-এর কবিতা
লাল ছেলেবেলা

থির দুপুরে রোদ দিয়েছে যেই সোনালি ছিটে
ঠিক তখনই গজিয়ে ওঠে ডানা আমার পিঠে।
হাত দুটো যে মিলিয়ে গিয়ে হলো বাতাস ঢেউ
এমন অবাক করা কথা জানলো না তো কেউ।
আমার পিঠের ডানা তখন উড়াল দিয়ে ছোটে
সোনালি এক ঝিলিক দিয়ে আকাশপটে ফোটে।
এলোমেলো বাতাস পেয়ে ডানা তখন কাঁপে
ছেলেবেলা রঙিন হলো লালচে আলোর তাপে।
এই আলো তো মুছে ফেলে সকল অন্ধকার
অনায়াসেই খুলে ফেলে বন্ধ যত দ্বার।
আলোর পাখি জানিয়েছিল, যত দূরেই যাও
কৌতূহলে তাকিয়ে তুমি আমার দেখা পাও।
আলোর ঝিলিক ছড়িয়ে দিয়ে উড়তে থাকা শুধু
যাই পেরিয়ে বন-বনানী, বিশাল সে মাঠ ধু-ধু।
যেতে হবে অনেকটা দূর থামবে না যে ওড়া
সেই তো ছিল আমারই লাল ছেলেবেলায় ঘোরা।
কোমল ছেলেবেলা ছিল পঙ্খিরাজের ডানা
উধাও হয়ে চলে গেছি কেউ করেনি মানা।
আমার ছেলেবেলায় ছিল লালের ছোঁয়া ঘন
যে কারণে উদাস হয়ে গেল আমার মনও।
আমার পুরো ছেলেবেলা লালচে হয়ে থাকে
চুলে এখন পাক ধরেছে তবুও সে ডাকে।
বলে, এসো আমার কাছে পরম সোহাগ দেবো
শুধু তোমার নিকট থেকে হারানো দিন নেবো।

ছড়া কবিতা
হাঁসের ছানা
মাহমুদ মোস্তফা

পুকুর পাড়ে বসে বসে
আরিফ জারিফ হেনা
ভাবছে গাঁয়ে অনেক কিছু
অদেখা অচেনা।

ঠিক তখনই পাশে এসে
হাঁসের ছানা হেসে হেসে
বলল- আছে জানা?
এই পুকুরে নামা, নাওয়া
ঢিল ছুড়তেও মানা।

কেউ পুকুরে ছুড়লে ঢিল
তার পিঠে ঠিক পড়বে কিল।

সারাক্ষণই চাঁদের আলো
এ কে আজাদ

সন্ধে হলে জোনাক জ্বেলে
শিউলি যখন ফোটে
রুপোয় বানান রাজটিকা ন্যায়
পূর্ণিমা চাঁদ ওঠে।

চাঁদের চোখে চোখ রেখে যেই
হাঁটতে করি শুরু
চাঁদমামাটাও সাথে হাঁটে
মনটা যে ফুরফুরু!

ছুটছি যতই অন্ধকারে
গাঁয়ের পথ ধরে
দৌড় খেলার প্রতিযোগী
চাঁদও যে পণ করে।

ছুটছি যতই রুদ্ধশ্বাসে
কিংবা থাকি ঠায়ে,
চাঁদমামাটাও ছুটছে ততোই
কিংবা দাঁড়ায় পায়ে।

সারাক্ষণই অন্ধকারে
এমন চাঁদের আলো
থাকতো যদি জীবন জুড়ে
লাগতো ভীষণ ভালো।

ছুটি
আবু সাইদ

ঢং ঢং বেল বাজে
বসা থেকে উঠি,
হইচই চারিদিক
চলে ছুটাছুটি।

আনন্দে সব্বাই
হেসে কুটিকুটি,
জলের ধারায় যেন
নাচে ছোট পুঁটি।

পথচেয়ে খোঁজ করে
মা’র চোখ দুটি,
ইশকুল ছুটি ভাই
ইশকুল ছুটি।

ছবি আঁকা
জুবায়ের দুখু

ছবি আঁকে খোকন সোনা
বৃষ্টি দিনের ছবি
মাঝে-মাঝে কাব্য লিখে
সবাই বলে কবি।

খোকন আঁকে সূর্যটাকে
আঁকে ছবি মায়ের
মেঠো পথের ছবি আঁকে
সবুজ ঘেরা গাঁয়ের।

খোকন সোনা আঁকবে এবার
মুজিবুরের ছবি
দূরাকাশের গাঁয়ে যেন
লেপটে থাকা রবি।

শিশির কণা
গোলাম আযম

দূর্বাঘাসে শিশির কণা
দেখতে লাগে ভালো
দৃষ্টিকাড়ে পড়ে যখন
সূর্যিমামার আলো।

রোজ বিহানে চলতি পথে
পায়ের ছোঁয়া পেয়ে
দূর্বাঘাসের সোনালি জল
ওঠে নেচে গেয়ে।

পুব আকাশে উঠে দেখ
সূর্যি মামা ঐ
দূর্বাঘাসে শিশির কণা
করে যে হইচই।

শিহরিত হয় দেখে তার
সবুজ শ্যামল রূপ
সূর্যিমামা ওঠার আগে
থাকে সবাই চুপ।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২০ নভেম্বর ২০১৯ /এমএম


Array