প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময় নিয়ে নানা মত রয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ভোর ৫টায় উঠলে শৃঙ্খলা, উৎপাদনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে কিছু মানুষের মতে, অতিরিক্ত ভোরে ওঠা শরীরের প্রাকৃতিক ঘুম চক্রে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।ভারতের যোগব্যায়াম শিক্ষক এবং হাবিল্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ বোথরা বলেছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়টি আসলে আপনার অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, না যে সময় ঘড়িতে দেখাচ্ছে। যদি আপনি প্রতিদিন একই সময়ে ওঠেন, তাহলে শরীরও সেই সময়ের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করে। এর কারণে, কিছু মানুষের কাছে ভোর ৫টায় ওঠা সহজ এবং বেশি শক্তিদায়ক মনে হয়, কারণ এটি তাদের অভ্যস্ত সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোর ৫টা প্রাকৃতিক ঘুম চক্রের সাথে মিলিয়ে ওঠা সহজ হয়, কারণ এই সময় মানুষ হালকা ঘুমে থাকে। এছাড়া বাতাস ঠান্ডা ও শান্ত থাকে, যা আপনাকে সতেজ বোধ করায়। তবে সকাল ৭টার দিকে দিনের শব্দ এবং ট্র্যাফিক শুরু হলে স্নায়ুতন্ত্রের ওপর চাপ বাড়তে পারে।মুম্বাইয়ের গ্লেনেগলস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বরূপ স্বরাজ পাল জানান, সকাল ৫টায় ওঠার চেয়ে সকাল ৭টায় ওঠা স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কোনো বেশি প্রভাব ফেলেনা, যদি না এটি আপনার স্বাভাবিক ঘুমের চক্রের সাথে মিলিয়ে হয়। স্নায়ুতন্ত্র তখনই ভালোভাবে কাজ করে, যখন আপনি পর্যাপ্ত ঘুম নেন, যা সাধারণত ৭-৮ ঘণ্টা।
ডা. স্বরূপ আরও বলেন, কিছু মানুষের জন্য ভোর ৫টায় ওঠা, শান্তভাবে শুরু করা, চাপ কমানো এবং ব্যায়াম করার সময় পাওয়া উপকারী হতে পারে। তবে, তাড়াতাড়ি ওঠার কারণে ঘুমের সময় কমে গেলে, তা ক্লান্তি, বিরক্তি এবং মনোযোগের অভাব সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের ওপর চাপ পড়তে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের গুণমান এবং নিয়মের চেয়ে সঠিক সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এমন একটি সময়সূচি তৈরি করা উচিত যা আপনার পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করবে, এবং সবার আগে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ /এমএম





