Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: কাঁচা দুধে তৈরি কিছু চিজে মারাত্মক বার্ড ফ্লু ভাইরাস (এইচ৫এন১) দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকতে পারে—নতুন গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এতে অপরিশোধিত দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

‘নেচার মেডিসিন’-এ প্রকাশিত গবেষণা

গত ৮ অক্টোবর নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বাধীন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত গাভীর দুধ থেকে তৈরি চিজে এইচ৫এন১ ভাইরাস শুধু টিকে থাকে না, বরং পনির তৈরির পুরো প্রক্রিয়া ও ১২০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণকালেও সক্রিয় থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA) যেখানে চিজ নিরাপদ রাখতে ন্যূনতম ৬০ দিনের সংরক্ষণের নিয়ম দিয়েছে, সেখানে এই ভাইরাস তার দ্বিগুণ সময় পরও টিকে থাকতে সক্ষম বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।তবে গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, উচ্চ অম্লত্ব বা কম পিএইচযুক্ত চিজ যেমন ফেটা (পিএইচ ৪.৬ বা কম)–তে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, অম্লীয় পরিবেশ ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

গবেষকদের বক্তব্য

গবেষণার সিনিয়র লেখক ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন কলেজের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক দিয়েগো ডিয়েল বলেন, আমরা এই গবেষণায় দেখতে চেয়েছি, এইচ৫এন১ ভাইরাস কাঁচা দুধের চিজে কতটা স্থিতিশীল থাকে। আগের গবেষণায় আমরা দেখেছি, সংক্রমিত গাভীর দুধে ভাইরাসের উপস্থিতি অনেক বেশি এবং তা রেফ্রিজারেটরে রাখলেও দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকে।সহলেখক ও দুগ্ধজাত পণ্যের মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ নিকোল মার্টিন বলেন, এই গবেষণা দুগ্ধশিল্পের জন্য সময়োপযোগী তথ্য দিয়েছে। এতে কাঁচা দুধ থেকে তৈরি চিজের ঝুঁকি কমানোর উপায় বের করা সম্ভব হবে।

কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়

গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, চিজ তৈরির আগে দুধ পরীক্ষা করা বা হালকা তাপ প্রয়োগ (যা পাস্তুরাইজেশনের নিচে) ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হবে, কিন্তু কাঁচা দুধের চিজের বিশেষ গুণও বজায় থাকবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা কাঁচা দুধজাত খাদ্য নিরাপত্তা মানদণ্ড পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বার্ড ফ্লু ভাইরাসের এমন স্থায়িত্ব ভোক্তাদের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৭ নভেম্বর  ২০২৫ /এমএম

 


Array