প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজেকে একটু সময় দিন। এতে নিজের মনকেও সময় দেওয়া হয়। ত্বকচর্চা আর কেশচর্চা করে রাতে ঘুমাতে যান। কিন্তু বাদ পড়ে যায় ওষ্ঠাধর? তাকেও পরিচর্যা করুন। তাহলে নিজের মনকে ফ্রেশ করে ঘুমাতে যাওয়া যায়।সারা দিন ধরে মুখের বাকি অংশের মতোই দূষণ, রোদ, ময়লার সংস্পর্শে আসে আপনার ঠোঁট। কিন্তু যত্নের সময়ে ঠোঁট পেছনের সারিতে পড়ে থাকে। তাই সহজেই তা শুষ্কতার কবলে পড়ে যায়। সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজালেও ঠিকমতো রং বসে না ঠোঁটে। তাই সুপারিশ করা হয়, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে সময় দিন। তাহলে সকালে একেবারে মসৃণ ও কোমল ঠোঁটের অধিকারী হবেন আপনি। দেখতেও ভালো লাগবে এবং আপনার ঠোঁটও ভালো থাকবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, সকালে কোমল ও মসৃণ ঠোঁট পেতে রাতে যে অভ্যাস পালন করা উচিত—
১. হালকা স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ করুন। কিংবা মধু ও চিনি মিশিয়ে আলতো মাসাজ করে নিন। এর ফলে ঠোঁট মসৃণ হয়। আর ঠোঁটে বারবার জিভ ঠেকানো বন্ধ করুন। লালা ঠোঁটকে সাময়িকভাবে ভিজিয়ে রাখে বলে মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে দ্রুত শুকিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। ফলে ঠোঁটকে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে।
২. রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক কিংবা লিপগ্লস মুছে ফেলুন। এতে ঠোঁটে পণ্য বা রং বসে থাকলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাবে। আর ঘুমানোর একটু আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকলে ঠোঁট ও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব হবে। এরপর একটি পুষ্টিকর লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। যেমন— শিয়া বাটার, নারিকেল তেল কিংবা ভিটামিন ‘ই’ যুক্ত পণ্য। এতে ঘুমানোর সময়ে ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না।
৩. ঘর যদি খুব গরম হয় কিংবা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং আপনার ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না।
৪. বালিশের কভার কিংবা কুশনের কভার যেন পরিষ্কার থাকে, নয়তো সারারাত ধরে ব্যাক্টেরিয়া জমে ঠোঁটসহ মুখের ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালা তৈরি করতে পারে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০১ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





