Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আকারে ছোট হলেও লিভার (যকৃৎ) শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। শরীরের বিপাক, প্রোটিন তৈরি, বিষাক্ত পদার্থ দূর করা, হজম এবং ভিটামিন জমা করার মতো জরুরি কাজ এটি করে। লিভারের সমস্যা হলে মৃত্যুও হতে পারে।সমস্যা হলো, মুখরোচক খাবারের লোভে অনেকেই অজান্তে লিভারের ক্ষতি করে ফেলেন। বার্গার, পিৎজা, জাঙ্ক ফুড, ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমে। এতে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। শুরুতে সচেতন না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।তবে, যেমন ভুল খাবার লিভারের ক্ষতি করে, তেমনি সঠিক খাবার গ্রহণ করলে লিভারকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

ফ্লোরিডার একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট চিকিৎসক জোসেফ সালহাব বলছেন যে লিভার সুস্থ রাখার জন্য ফলই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু ফলের কথা বলেছেন, যা প্রতিদিন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

১. তরমুজ এবং পাতিলেবুর রস

তরমুজ এবং সামান্য পাতিলেবুর রস একসঙ্গে খেতে বলেছেন চিকিৎসক। তরমুজে থাকে সিট্রুলাইন যা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সহায়ক। পাতিলেবুতে থাকে ভিটামিন সি। দু’টি একসঙ্গে খেলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় বলে জানান তিনি।

২. বেদানা

ভিটামিন এবং খনিজে পূর্ণ বেদানা লিভারের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে রয়েছে পলিফেনলসের মতো যৌগ। গবেষণায় উঠে এসেছে বেদানায় থাকা পলিফেনলসের মতো উপাদান লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৩. আপেল এবং দারচিনি

আপেলের ওপর দারচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে লিভার ভালো থাকে। আপেলে থাকা ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান লিভারকে সুস্থ রাখে। অন্যদিকে, দারচিনি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং চর্বির পরিমাণ ঠিক রেখে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও বিট এবং বেরি জাতীয় ফলও লিভারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর। তবে মনে রাখতে হবে, ফল উপকারী হলেও তা অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়, বরং নিয়মিত কিন্তু পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৪ অক্টোবর  ২০২৫ /এমএম


Array