প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আপনার কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে কম বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস। আর শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলেই খাওয়াদাওয়া চলে আসে নিয়ন্ত্রণে। আপনার খাদ্যতালিকায় হাজার রকম বাধা পড়ে। সে জন্য জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আর নিয়ন্ত্রণে আনলেই বশে রাখা যায় ডায়াবেটিস।এ ক্ষেত্রে সবার আগে খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন পড়ে। অনেকে মনে করেন, মিষ্টি বেশি খেলেই নাকি শরীরে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। তবে এমনটি নয়। একবার এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে রাশ টানতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। একেবারে বন্ধ করে দিতে পারলে আরও ভালো।
অনেক ডায়াবেটিস রোগীই রান্না করা খাবারে চিনি খান না। তবে তাদের খাদ্যতালিকায় চিনির কৌটার বদলে জায়গা করে নিয়েছে গুড়ের কৌটা। এ অভ্যাস কি আদৌ তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর?আগে জানা উচিত গুড় খাওয়া যাবে কিনা। কারণ গুড় খেলে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকের ধারণা— চিনির পরিবর্তে গুড় খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, এটি ঠিক নয়। বরং গুড়ে থাকা সুক্রোজ সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য চিনির মতোই ক্ষতিকর গুড়।
গুড় প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এক ধরনের মিষ্টি। কিন্তু সাধারণত খেজুরের রস কিংবা আখের রস জ্বাল দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। গুড়ে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য গুড় খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ১০০ গ্রাম গুড়ে ৩৮৩ ক্যালোরি, ৬৫ থেকে ৮৫ শতাংশ সুক্রোজ থাকে এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ থাকে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আর ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েটে এমন খাদ্য রাখা উচিত, যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) কম থাকে। গুড়ের জিআই মাত্রা খুব বেশি থাকে। সুতরাং গুড় খেলে রক্তের শর্করা তাৎক্ষণিকভাবে বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের ডায়েটে গুড় থাকলে কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা— এমনকি শরীরের অন্যান্য অঙ্গও বিকল হয়ে যেতে পারে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১২ অক্টোবর ২০২৫ /এমএম