Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম চা উৎপাদনকারী দেশ। প্রতিবছর দেশে গড়ে ৯–১০ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে প্রধান দুটি ধরন হলো ব্ল্যাক টি ও গ্রিন টি।ব্ল্যাক টি প্রস্তুত হয় পূর্ণ ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায়। এতে চায়ের রং গাঢ় হয় এবং সুবাস ও স্বাদ তীব্র হয়। অপরদিকে গ্রিন টি-তে ফারমেন্টেশন করা হয় না। পাতাকে বাষ্প বা প্যান-ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত শুকানো হয়, ফলে এর স্বাদ হালকা ও মৃদু থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্ল্যাক টি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ায়, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক সতেজতা আনে।অন্যদিকে গ্রিন টি ওজন কমাতে সহায়ক, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তাদের পরামর্শ, সর্বোচ্চ উপকার পেতে চা অবশ্যই দুধ ও চিনি ছাড়া পান করা উচিত।

গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টিতে থাকা ক্যাফেইন সামগ্রী

গ্রিন টিতে ব্ল্যাক টিয়ের চেয়ে কম ক্যাফেইন রয়েছে। ক্যাফেইনের উপাদানগুলো উদ্ভিদ, পদ্ধতি এবং প্রস্তুত করার উপর নির্ভর করে। এক কাপ কফির তুলনায় এক কাপ গ্রিন টিতে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে, আর এক কাপ ব্ল্যাক টিতে থাকে এক তৃতীয়াংশ ক্যাফেইন।

পলিফেনল ছাড়া এই দুই চায়ের উপকারিতা প্রায় একই। যারা ক্যাফেইন বাড়াতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ব্ল্যাক টি ভালো। আপনি যদি ক্যাফেইন গ্রহণের ক্ষেত্রে সংযমী হতে চান হন তবে গ্রিন টি বেছে নেওয়া উচিত। কারণ এতে ব্ল্যাক টিয়ের তুলনায় কম ক্যাফেইন রয়েছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০২ সেপ্টেম্বর  ২০২৫ /এমএম


Array