Menu

পাঠান জামিল আশরাফ-এর তিনটি কবিতা

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক ::
দ্বিধা

তাক থেকে শব্দগুলো কাঁধে নেবার দিন
এসে গেছে; অস্ত্রের মুখে পড়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র
পাল্টা অস্ত্র করেছে তাক।

ইশারা! ইশারা!
পত্রিকার কণ্ঠ বদলে যায়।

জলমগ্ন দুপুর— সাহস নিভিয়ে দিলে
খাটের উপরে শুয়ে থাকে ছন্দা গুহ
চাইলেই ভ্রমণ করতে পারো

কয়েকটি শব্দ তাকিয়ে থাকবে কেবল —
উষ্ণতার শেষে দুর্বল হয়ে ওঠো কি না!

রাতের ডালপালা

হৃদয়ের ভরে ন্যুব্জ আমার রাতের ডালপালা।
সবুজ পাতায় মুছা হলে অভিজ্ঞান,
ক্লান্ত ক্লিন্ন উপ-নারীদের হাত ধরে
মেঘরাখালেরা ভুলে যায় কলতান।
মেঘের মেয়েরা মেঘে আজ চালিয়ে দিয়েছে কাঁচি;
স্মৃতির মেশিন ভেঙ্গে পড়ে আছে নীচে।
আকাশের মুখ হতে উৎপন্ন শব্দরাশি
ফালি ফালি হয়ে ছিটকে পড়ছে দূরে দূরে;
মিলেমিশে চলে গেছে তারা তামাটে সন্ধ্যার রঙে-রঙে।
যেন বিলীন হয়েছে পূবালী নদীর রূপালি-সোনালী জলে;
এইখানে এসে বিস্তৃত হয়ে বসি, দেখি,
কতো ন্যুব্জ হৃদয়ের ভরে গভীর হলো আজ
রাতের ডালপালা, অন্ধকারে মেলে ধরে বিস্তার….

ক্যানভাস

বোতাম খুলতেই বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে কয়েকটি হরিণ;
শিং তাক করা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে আমাদের দিকে।
আমরা, নির্মিতব্য সুউচ্চ ও বোবা সাদা দালান।
মোটা মলাটে লেপ্টে আছে শত হরিণের প্রাণ-ধ্বনি।
আমরা কতিপয় বন্দুক — তাক করা— সতর্ক হরিণের বুকে।
হলভর্তি মানুষের আশ্চর্য গুঞ্জন শুনি। তাকিয়ে দেখি —
ক্যানভাস ফুঁড়ে দিগ্বিদিক ছুটে যাচ্ছে সহস্র হরিণ।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ এমএম


Array