Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: আশ্বিন মাসে এক আনন্দের বার্তা বয়ে আসে সনাতন ধর্মাবলম্বী দের মাঝে। এবার দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে একমাস পর অর্থাৎ আগামী ২১ অক্টোবর থেকে। এদিন দেবীর বোধন। বরফাচ্ছন্ন কানাডার ক্যালগেরিতে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে আগামী ২১ অক্টোবর থেকে।

কিন্তু এ বারের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা করোনাকালে শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে সব আয়োজন। বয়স্ক ব‌্যক্তি ও শিশু ইচ্ছা থাকলেও এবার পূজায় আসতে পারবে না। তাদের জন্য ভার্চুয়ালি অঞ্জলির ব্যবস্থা থাকবে সব আয়োজনে।

এবার দুর্গাপূজায় স্বাস্থ্যবিধি ও গাইডলাইন পূর্ণার্থীদের মেনে চলতে হবে। এরমধ্যে মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা ও নির্দিষ্ট থাকবে। এ ছাড়াও পূজামণ্ডপে আসা ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই মিটার ) বজায় রেখে লাইন ধরে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যেতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে। পূজামণ্ডপে আসা সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পরে আসলে কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এছাড়াও মন্দিরের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকবে।

গত বছরের মতো এ বছর আলোক উজ্জ্বল আর সুক্ষ ছোঁয়ায় সাজানো হবে না পূজামণ্ডপ। নানা মাত্রিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শারদীয় উৎসবে চলবে দেবী দুর্গার আরাধনা।তবে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে পূজামণ্ডপে নেয়া হবে সতর্কতা। গত বছরের সেই মিলনমেলা হবে ভার্চুয়ালি।

ক্যালগেরির “আমরা সবাই” এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রুপক দত্ত বলেন-আসছে শুভ দিনে মায়ের আশীর্বাদে দেশে ও বিশ্বের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে, আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর হয়ে উঠবে, করোনা সহ সকল পাপ ও পঙ্কিলতা দূর হয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা ।

ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি, বিশিষ্ট রিয়েল এষ্টেট ব্যাবসায়ী কিরণ বণিক শংকর বলেন “ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ” এই শহরে সর্ব প্রথম এবং সর্ব বৃহৎ পূজোর আয়োজন করে আসছে কিন্ত এই সংকটময় বিশ্বে পূজোর মতই পূজা করা হবে। সকল ধর্মীয় রীতি মেনেই পূজো হবে তবে তিনি বলেন “ উৎসবের নামে সুইসাইড” করার কোন অর্থ নাই। পূজোর আয়োজকরা আশা করছি এই ধরনের অবিবেচক সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবেন। বিশ্ব জননী তিনি সংকট নাশিনী , তিনিই সকল সংকট নাশ করে আবারও ধরাতে স্বাভাবিক জীবন ও পূজোর পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।সকলের প্রতি পুজোর আগাম শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির এক্সকিউিটভি কমিটির সদস্য প্রকৌশলী সুব্রত বৈরাগী বলেন– দুর্গতি বিনাশ করার জন্য তার আবির্ভাব। তাই দেবির নামকরণ ‘র্দুগা’। এ বছর আমরা সবাই মিস্ করবো গতবারের মিলন মেলা কে। তবে আমরা বিশ্বাস করি দেবী সর্বত্র আছেন, মঙ্গলের বার্তা দিয়ে তিনি পৃথিবীকে শান্তিময় করে তুলবেন।

দেশের মাটিতে পা রাখতে না পারলেও কানাডার সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাঙ্গালিরা দুর্গাপূজাকে ঘিরে মেতে উঠেবেন আনন্দ উৎসবে। দেবীর পায়ে অঞ্জলি আর দর্শনের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তি কামনা করে করবেন প্রার্থনা।

উল্লেখ্য এ বছর নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুুলে ধরতে অনেকেই উদযাপন করবেন ভার্চুয়াল পূজা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৮  অক্টোবর ২০২০/এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ