আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: “সবুজ খেয়ে বাঁচি ,সবুজ নিয়ে থাকি”–এই স্লোগান নিয়ে কানাডার টরন্টোর স্কারবোরোর প্রবাসী বাঙালী নজরুল ইসলাম খান লিটন এবং তার সহধর্মিণী জিনাত জাহান কে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ীর আঙ্গনায় গড়ে তুলেছেন এক বিশাল বাগান।
এ বছর করোনার সংগ্রামে মানুষ যখন বিচলিত, যখন চারদিকে শুধু করোনা আর মৃত্যুর সংবাদ ঠিক সেই সময়ে পরিবারের সবাই কে নিয়ে মনযোগ দিয়েছেন তার বাগানের প্রতি।
ছায়া সুনিবিড় আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে স্রোতস্বিনী নদী, নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্রাম্য মেঠো পথ আর প্রকৃতির অপার লীলাভূমি–ছোটবেলার সেই শৈশব কৈশোরের স্মৃতি ভুলতে পারেনি লিটন। ছোট বেলার সেই মেঠোপথ আর শস্য ক্ষেতের পটভূমি হৃদয়ে ধারণ করে প্রবাস জীবনে গত পাঁচ বছর ধরে নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় শস্য উৎপাদন করে যাচ্ছেন লিটন।
করোনার কারণে বাড়ীতে থাকার ফলে এ বছর তাঁর বাগানের ফলন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তাঁর বাগানে এ বছর উৎপাদন করেছেন বাংলাদেশি লাউ, চিচিঙ্গা, সিম, নাগা মরিচ,লাল শাক,ডাটা শাক, পাট শাক,পূই শাক, টমেটো, বেগুন, জুকিনী এবং ঢেঢ়স।
প্রবাস বাংলা ভয়েস কে তিনি বলেন- আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি মাটি আর সবুজই আমাদের শেষ ভরসাস্থল। এই মাটিতেই সবুজ খেয়ে বাঁচি, সবুজ নিয়ে থাকি। মানুষের প্রতি মানুষের যে অমর্যাদা মাটি কখনোই তা করবেনা ।
আমি দূঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মাটি কে ভালবাসলে মাটি আমাকেও যোগ্য সম্মান দিবে –এই প্রত্যাশা নিয়েই প্রবাসী জীবনে গত পাঁচ বছর ধরে মাটিকে ভালোবেসে বাগান করে চলেছি। তিনি আরো বলেন নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়েও আমি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব দের সবজি দিয়ে থাকি। আমার বাগান দেখে অনেক প্রবাসী বাঙালিরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনে নজরুল ইসলাম খান লিটন কানাডার টরেন্টোতে একজন ব্যবসায়ী। দুই সন্তানের জনক লিটন কম কম ব্যবস্থাপনা এবং সিএ আর্টিকেলশীপ সহ কানাডার মন্টিয়ল ভেনীর কলেজ থেকে কম্পিউটারাইজড ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর উপরে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০8 অক্টোবর ২০২০/এমএম





